আগামীকাল বিশ্ব কিডনী দিবস

দুরন্ত ডেস্ক: বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১২মার্চ) বিভিন্ন কর্মসূচিতে বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত হবে। মার্চের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার দিবসটি পালিত হয়।

চলতি বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘সুস্থ কিডনি, সর্বত্র সবার জন্য’। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশ কিডনি ফাউন্ডেশন, ক্যাম্পস, বাংলাদেশ রেনাল এসোসিয়েশন, পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) সহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে

বিশ্ব কিডনী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় বিএসএমএমইউ-এর বি বøকের শহীদ ডা. মিলন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিডনী (নেফ্রোলজি) বিভাগের উদ্যোগে একটি আলোচনা সভা ও বৈজ্ঞানিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া শিশু কিডনী বিভাগ ও পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ (পিএনএসবি)-এর যোৗথ উদ্যোগে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় র‌্যালি এবং বি ব্লকের শহীদ ডা. মিল্টন হলে সকাল সাড়ে ১০টায় এক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে।

এদিকে বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে আজ বিএসএমএমইউ-এর ডা: শহীদ মিলনায়তনে কিডনি ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ রেনাল এসোসিয়েশন ও কিডনি অ্যাওয়ারনেস মনিটরিং এন্ড প্রিভেনশন সোসাইটি (ক্যাম্পস) যৌথভাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ।

এতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা কিডনি সুস্থ রাখতে এবং কিডনি রোগ থেকে বাঁচতে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি সুষম খাদ্যগ্রহণ ও ধূমপান পরিহার করার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, খাদ্যে ভেজাল দূর করতে পারলে কিডনি রোগ অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিশ্বে বর্তমানে ৮৫০ মিলিয়ন মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত। প্রতি বছর ২ দশমিক ৪ মিলিয়ন মানুষ দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে আক্রান্ত ও ১ দশমিক ৭ মিলিয়ন মানুষ আকস্মিক কিডনি রোগে মারা যায়। দেশে প্রায় ৪০ হাজার রোগী দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ রেনাল এসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ রফিকুল আলম, বিএসএমএমইউ নেফ্রোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আছিয়া খানম, বাংলাদেশ রেনাল এসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা: কে বি এম হাদিউজ্জামান প্রমুখ।

এতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা জানান, শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা বিশ্বে কিডনি রোগে আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। এ রোগে আক্রান্তদের একসময় সম্পূর্ণ কিডনি বিকল হয়ে যায়। তখন ডায়ালাইসিস বা কিডনি সংযোজন ছাড়া বাঁচার উপায় থাকে না। এ দুটো চিকিৎসা পদ্ধতিই অত্যন্ত ব্যয়বহুল। যেহেতু এ রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল, তাই এ ক্ষেত্রে সরকারের ভর্তুকির দাবি জানান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।(বাসস)

Spread the love
%d bloggers like this: