ইসলামি বইমেলা; দীর্ঘশ্বাস ছাড়া আর উপায় কী?

এতটা অপমান মেনে নেওয়া সত্যিই কঠিন। ইসলামি সাহিত্য নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য দেখে আকাশে দিকে তাকিয়ে ভাবি—অনেক দূরের পথ বাকি।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে ইসলামি বইমেলা শুরু হয়েছে গত রবিবার। আয়োজক ইসলামিক ফাউন্ডেশন, উপলক্ষ্য সিরাতুন্নবি। মাসব্যাপী বইমেলা।

একটা বিজ্ঞাপন কোথাও দেখেছেন? প্রচারণার ন্যূনতম কোনো আলামত আছে? বুঝি না, কেন এই বইমেলার আয়োজন করা হয়?

আয়োজক কর্তৃপক্ষ সম্ভবত চান না এই মেলায় কোনো পাঠক আসুক। ঠ্যাকায় পড়ে অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান নিজ গরজে যতটুকু ক্যাম্পেইন করে, স্রেফ এতটুকুই।

এই মেলায় অংশগ্রহণ করা নিতান্তই লস প্রজেক্ট। খরচের টাকাও উঠে আসে না। তবুও আমরা যাই। কারণ, লড়াইটা থেমে দিলে তো সব শেষ। প্রতিকূলতা নিয়েই ইসলামি বই ছড়িয়ে দেওয়ার সংগ্রাম জারি রাখতে চাই।

বাংলা একাডেমির বইমেলায় ইসলামি প্রকাশনীগুলো স্টল বরাদ্দ পাবে না। এটা অঘোষিত নিয়ম, আর দৃশ্যমান ঐতিহ্য। দুর্ভাগ্য কি জানেন, বায়তুল মোকাররমের বইমেলাতেও দেশের খ্যাতিমান ইসলামি প্রকাশনাসমূহ স্টল পায় না, এবারও পায়নি। গুলিস্তানের হকাররা স্টল বরাদ্দ পায়। আমরা তাদের থেকে স্টল কিনে নিয়ে মেলায় বসি। দারুণ না?

সম্মানিত ঢাকাবাসী,
চিৎকার করে বলছি—বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে ‘ইসলামি বইমেলা’ হচ্ছে। কেউ তার প্রচারণা করবে না। না মিডিয়া, না আয়োজক। আমাদের দায় আছে, তাই বইমেলায় স্টল নিয়েছি। যদি সুযোগ থাকে পরিবার, বন্ধু-বান্ধবসহ মেলায় আসুন ইনশাআল্লাহ।

সুযোগ থাকলে এই মেলার ক্যাম্পেইন করুন। সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের সর্বশেষ এবং একমাত্র মাধ্যম। আমরা দুর্বল মানুষ। আপনাদের দাওয়াত দিলাম। বই কেনার দরকার নাই, বইমেলায় এসে আমাদের পিঠে হাত বুলিয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।

আমরা হতাশ নই, চ্যালেঞ্জ নিয়েই তো জীবন! ইনশাআল্লাহ, আমরা অব্যাহতভাবে ক্যাম্পেইন করব। টার্গেট কমপক্ষে ৫০ হাজার পাঠক বইমেলায় নিয়ে আসব ইনশাআল্লাহ।

আপনারা স্ব স্ব ওয়ালে ইসলামি বইমেলা নিয়ে ক্যাম্পেইন করবেন প্লিজ। সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ের কথামালা দিক-দিগন্তে ছড়িয়ে পড়ুক।

নূর মোহাম্মদ এর ফেইসবুক থেকে

Spread the love
%d bloggers like this: