‘এক ক্লিকে’ হাট থেকে বাসায় যাবে কোরবানির পশুর গোস্ত!

‘এক ক্লিকে’ হাট থেকে বাসায় যাবে কোরবানির পশু
ফাইল ছবি

করোনাভাইরাস মহামারীতে সশরীরে হাটে গিয়ে কোরবানির পশু কেনার বিড়ম্বনা থেকে বাঁচাতে গতবারের মতো এবারও ডিজিটাল হাট চালু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অধীনে এবারের ডিজিটাল হাট বাস্তবায়ন করছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) এবং বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশন।

অনুষ্ঠানে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এবারের ডিজিটাল হাটে এক লাখ গরু বিক্রির লক্ষ্য রাখা হয়েছে। এ হাটে যদি এক লাখ গরু বিক্রি করা সম্ভব হয় তাহলে প্রায় ৫ লাখ সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে বাঁচবে।

তিনি জানান, ডিজিটাল হাট থেকে পশু কিনে তা ‘প্রসেস’ করে বাসা পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার সেবা দেওয়া হবে। এক হাজার পশু ‘প্রসেস’ করে ক্রেতার বাসায় পৌঁছে দিতে সক্ষমতা রয়েছে আমাদের ।

তবে এই সেবা নিতে হলে ক্রেতাদের ১০ জুলাইয়ের মধ্যে অর্ডার দিতে হবে বলে তিনি জানান।

মেয়র বলেন, অনলাইনে যারা গরু কিনবেন তাদের কোনো হাসিল দিতে হবে না। কোরবানির পশুর চামড়া দান করার জন্য মানবসেবা নামে একটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, বর্তমানে দেশে ৪১ কোটি ২২ লাখ খাবার যোগ্য প্রাণী রয়েছে। ১ কোটি ১৯ লাখ কোরবানির জন্য পশু প্রস্তুত রয়েছে। দেশের বাইরে থেকে যেন এ সময়ে পশু আসতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, এক ক্লিকেই হাট থেকে হাতে পশু পৌঁছে দিতে এবার এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২৩টি ই-ক্যাব কোম্পানি এবং ৬০টির বেশি মার্কেটপ্লেস এ হাটে যুক্ত আছে। দেশের প্রতিটি জেলা থেকে পশু বিক্রির অনলাইন লিংকগুলো এ হাট থেকে পাওয়া যাবে।

ক্রেতা যাতে কোনো ধরণের অসুবিধায় না পড়েন এজন্য সব ধরনের উদ্যেগ নেওয়া হয়েছে। কোন ধরণের মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়াই বিক্রেতারা তাদের পশু বিক্রি করতে পারবে।

গত বছর ডিজিটাল হাট থেকে ২৭ হাজারের বেশি কোরবানির পশু বিক্রি করা হয়েছিল বলে জানান ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার।

গরু কেনায় প্রতারণা এড়ানোর বিষয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসি ডিজিটাল হাট অত্যন্ত দূরহ ব্যাপার। এখানে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ এসছে। যেমন গতবার চ্যালেঞ্জ এসেছে টাকা দেওয়ার পর গরু যদি খারাপ হয় তাহলে কাকে ধরব? এটি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা আমাদের স্ক্রো পদ্ধতি দিয়েছে। স্ক্রো পদ্ধতি হলো আপনি গরু কিনবেন আপনার টাকা কিন্তু বিক্রেতা সরাসরি পাবে না। এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের একটা অ্যাকাউন্টে যাবে। আপনি যখন নিশ্চিত করবেন আপনি গরুটা পেয়েছেন এবং গরু ঠিক আছে তারপরই টাকা ছাড় করবে। এই স্ক্রো পদ্ধতিতে নতুন প্লাটফর্মে কাজে লাগবে। কাজেই গরু কেনার পর ঠিক থাকবে না এটা আর হবে না এখন থেকে।

Spread the love
%d bloggers like this: