তুহিন হত্যা: বাবা ও চাচার মৃত্যুদণ্ড

দুরন্ত ডেস্ক: সুনামগঞ্জের দিরাই উপডজেলার কেজাউড়া গ্রামে আলোচিত শিশু তুহিন হত্যাকাণ্ডে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৬ মার্চ ) সকালে জেলা ও দায়রা জজ ওয়াহিদুজ্জামান সিকদার এ রায় দেন। মৃত্যদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- শিশু তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির ও আপন চাচা নাসির উদ্দিন।

অপর দুই আসামি মাও. আব্দুল মোছাব্বির ও জামশেদ আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের মুক্তি দেন। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটনানো হয়।

এ দিকে গত ১০ মার্চ তুহিন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তুহিন চাচাতো ভাই শাহরিয়ার আহমদকে (১৭) ৮ বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত। শারিয়ারে ১৮ বছরের হওয়ায় আদালত তাকে ৮ বছরের আটকাদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কেজাউরা গ্রামে এই হত্যাকাণ্ডে ঘটনা ঘটে। ওই দিন সকালে বাড়ির পাশের একটি গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় তুহিনের মরদেহ পাওয়া যায়।

এসময় তুহিনের গলা, দুই কান ও যৌনাঙ্গ কাটা ছিল ও পেটে বিদ্ধ ছিল দুটি ছুরি। এ ঘটনায় তুহিনের মা মনিরা বেগম বাদী হয়ে ঘটনার পরের দিন অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে দিরাই থানায় মামলা করেন। এই মালায় পুলিশ তুহিনের বাবা আবদুল বাছির (৪০), চাচানাসির উদ্দিন (৩৫), আবদুল মছব্বির (৪৫) ও জমসেদ আলী (৬০) এবং ১৭ বছর বয়সী চাচাতো ভাই শাহরিয়ারকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় পুলিশ তুহিন হত্যা মামলায় গত ৩০ ডিসেম্বর এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। এরপর আদালতে অভিযোগ গঠন হয় ৭ জানুয়ারি। আজ আলোচিত তুহিন হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রদান করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভেকেট শামছুন্নাহার বেগম বলেন, আমরা এই রায়ে সন্তুুষ্ট। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এতে করে সাধারণ মানুষের বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা আরও বাড়বে। আসামি পক্ষের আইনজীবী হিসেবে ছিলেন অ্যাডভোকেট বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু। সূএ: ইত্তেফাক

Spread the love
%d bloggers like this: