প্রকৃতি ও পুষ্টির গল্পের আসর

প্রতিনিধি: গতকাল সাতক্ষীরার তালতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সামনে অচাষকৃত শাকসবজি ও লতাপাতার গুণাবলি তুলে ধরেন পুষ্টির ফেরিওয়ালা খ্যাত রুহুল কুদ্দুস ও বাবর আলী। ‘ডুমুর ডায়াবেটিসের প্রতিষেধক। মালঞ্চশাক শরীরের ক্ষত সারাতে কাজ করে, কচুপাতা চোখের জন্য ভালো আর পিঁপুল সর্দি-কাশি দূর করে।’ রয়েছে অত্যন্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ ব্রাহ্মী, কলমি, দস্তাকচু, হেলেঞ্চা, সাঞ্চি, বেতশাক, কলার মোচা, ডুমুর, বউটুনি, শাপলা, ঘ্যাটকল, কাটানটিশাকসহ নানা প্রজাতির অচাষ করা শাক ও লতাপাতা।

সাতক্ষীরা শহরতলির তালতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বারসিক ইনস্টিটিউট অব অ্যাপ্লাইড স্টাডিজ এবং শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিম আয়োজিত গতকাল রোববার বেলা ১১টায় ‘এসো প্রকৃতিকে জানি, পুষ্টির গল্প শুনি’ শীর্ষক প্রকৃতি ও পুষ্টির গল্পের আসরে প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত শাক ও লতাপাতার পুষ্টিগুণ তুলে ধরেন পুষ্টির ফেরিওয়ালাখ্যাত রুহুল কুদ্দুস ও বাবর আলী।

রুহুল কুদ্দুস ও বাবর আলী বলেন, থানকুনি আমাশয়ের প্রতিষেধক। শাপলা আয়রনসমৃদ্ধ, শরীর ঠান্ডা রাখে। কলার মোচা হার্টের জন্য ভালো। ব্রাহ্মী স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে। হেলেঞ্চা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। কাটানটি ধাতুরোগের মহৌষধ। ঘ্যাটকল কানের যন্ত্রণা দূর করে। কলমি গর্ভবতী মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

তাঁরা আরও বলেন, চাষ না করেই পতিত ও জলাবদ্ধ এলাকায় এসব শাকসবজি ও লতাপাতা প্রচুর পরিমাণে জন্মায়। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই এসব অচাষ করা শাকসবজির গুণাগুণ সম্পর্কে জানে না। ফলে তারা বাজার থেকে কীটনাশক ও সার দেওয়া শাকসবজি কেনে। কীটনাশক ও সার দেওয়া শাকসবজি পুষ্টির চেয়ে মানবদেহে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়

তাঁরা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রকৃতিতে প্রাপ্ত অচাষ করা এসব শাক ও লতাপাতার গুরুত্ব তুলে ধরে বাড়ির পতিত জমিতে সংরক্ষণ ও নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করে রোগমুক্তি বা পুষ্টির চাহিদা পূরণের আহ্বান জানান। এর আগে শিক্ষার্থীদের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন তালতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম।

বক্তব্য দেন সহকারী শিক্ষক দেবেস রঞ্জন, মঙ্গল কুমার সরকার, এস এম মর্তজা সানা, রবিউল ইসলাম, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল ইসলাম প্রমুখ।

Spread the love
%d bloggers like this: