বিলুপ্ত হতে পারে মানুষ!

দুরন্ত খবর ডেস্ক:
আজ থেকে ঠিক ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে ডাইনোসররা বিলুপ্ত হয়েছিল। বিজ্ঞানীদের কাছে সে সময়টা পরিচিত পঞ্চম ‘মাস ইক্সটিঙ্কশন’ বা ‘ব্যাপক বিলুপ্তি’ নামে। এত বছর পর এখন চলছে এর ষষ্ঠ সংস্করণ। আর এবার বিলুপ্তির শিকার হতে পারে মানুষ। বিজ্ঞানীরা এমনটাই দাবি করছেন।
তিনটি বিখ্যাত মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়- প্রিন্সটন, বার্কলে, স্ট্যানফোর্ডের গবেষকদের একটি গবেষণা সম্প্রতি ‘সায়েন্স অ্যাডভান্স’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রাণীরা আগে যে হারে অবলুপ্তির শিকার হতো এখন সেটা হচ্ছে ১০০ গুণ বেশি হারে! এই হার নাকি ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে ডাইনোসরদের বিলুপ্তির সময়কার হারের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। তাই বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, ধীরে ধীরে ষষ্ঠ ‘ব্যাপক বিলুপ্তি’-র দিকে যাচ্ছে বিশ্ব। এ জন্য মানুষকেই দায়ী করছেন তারা। দিন যত যাচ্ছে মানুষ তত বাড়ছে, আর নিজেদের প্রয়োজনে মানুষ গাছ কাটছে, উজাড় করছে বনাঞ্চল। শুধু তাই নয়, বন্যপ্রাণীদের নিয়ে অবৈধ ব্যবসা করছে মানুষ। এছাড়া রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব।
অবশ্য বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, গণ অবলুপ্তি শুরু হচ্ছে বা হয়েছে, তার প্রথম শিকার নাকি হতে পারে মানুষ নিজেই।
আলোচিত এই গবেষণার গবেষক দলের প্রধান গেরাডো সেবালোস ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘গবেষণা শুরুর আগে তার ধারণা ছিল জীববৈচিত্র্যের ক্ষতির কারণ হয়তো মানুষ, কিন্তু সেটা যে এত বেশি তা ভাবতে পারিনি।’
আইইউসিএন-এর আরেকটি গবেষণা বলছে, প্রায় ৪১ শতাংশ উভচর এবং ২৬ শতাংশ স্তন্যপায়ী প্রাণী বর্তমানে হুমকির মুখে।
পরিস্থিতির উন্নয়নে মানুষকে সচেতন করা এবং নীতি নির্ধারকরা যেন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবে সেটা নিশ্চিত করতে হবে বলে জানান ‘ওয়ার্ল্ডওয়াইড ফান্ড ফর নেচার’ বা ডাবলিউ ডাবলিউ এফ, জার্মানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আরনুল্ফ ক্যোয়েনকে।

Spread the love
%d bloggers like this: