ভয়ংকর সৌন্দর্যের হাত ছানি দিয়ে ডাকছে বান্দরবানের দেবতাখুম

নওশের ভূইয়ান: গত দুমাস ধরে প্ল্যান করছিলাম যাব যাব।এবার মিলল সুযোগ।গতবার গিয়েছিলাম আমিয়াখুম নাফা খুম দেখতে। কিন্তু তখন ভেলায় ভাসতে পারিনি।সময় ছিলনা। আমাদের অনেকদূর পাহাড়ি পথ ট্রাক করে যেতে হবে।এবার সেই ইচ্ছেটা সুদে আসলে পূরণ হলো। ভেলা নিজেরাই চালিয়েছি দেভোতা খুমের বুকে। দুই খাড়া পাহাড়ের মাঝ খান দিয়ে জলের স্রোতধারা।কিছু জায়গায় রোদ পৌঁছেইনা।কেমন যেন রহস্য ময় গা ছমছমে পরিবেশ।পানির শীতলতা যেন বরফ কেও হার মানায়।এখানে ভেলা চালানো যে খুব সহজ তা কিন্তু নয়।জায়গায় জায়গায় ডুবো পাথর।মাঝেই আটকে যায়। লগী ঠেলে ঠেলে সরাতে হয়।নিচের পাথর ও খুব পিচ্ছিল।ধপাস ধপাস দু চারজন কে পরে যেতেও দেখলাম।গেল বছর বর্ষায় টাঙ্গুয়ার হাওর যেবার বেড়াতে গেলাম সেবার অনেক সময় নিয়ে নৌকা চালিয়েছিলাম।তখন একজন মাঝি ছিল।কিন্তু এবার চালক আমরা দুজন।আমরাই ভেলাবাইছি। লগি ঠেলছি।ভীষণ থ্রিলিং ব্যাপারটা।

দেবতাখউম যাবার পথ টাই অনেক দুর্গম।কোন কোন জায়গা এমন যে পাসা পাশি দু পা ফেলে হাঁটা যায়না।ইচ্ছে ছিল খুমের পানিতে গোসল করব।পানি এত ঠাণ্ডা যদি এই মাঘের বাঘ পালানো শীতে নিউমোনিয়া বাঁধিয়ে বসি তখন সেটা হবে আমার স্ত্রীর জন্য উটকো ঝামেলা।তাই আর গোসল করলাম না। এই অসাধারণ সৌন্দর্যের স্মৃতি অটুট থাকবে আমার মনের মনি কোঠায়।

Spread the love
%d bloggers like this: