মিডিয়া ফেলোশিপ পেলেন ঢাকা কলেজ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি

দুরন্ত রিপোর্ট: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মিডিয়া ফেলোশিপ-২০২০ পেয়েছেন ঢাকা কলেজ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাহমুদুল হাসান।

শনিবার (১১ জুলাই) পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের আইইএম ইউনিটের এক অনলাইন অনুষ্ঠানে মাহমুদুল হাসানসহ নির্বাচিত ৪০ জন গণমাধ্যমকর্মীকে প্রতীকী ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উদযাপন ও পরিবার পরিকল্পনা মিডিয়া ফেলোশিপ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের আইইএম ইউনিটের আইইসি অপারেশনাল প্ল্যানের ২০২০ সালের পরিবার পরিকল্পনা, মা, শিশু ও নবজাতক স্বাস্থ্য এবং জনসংখ্যা ইস্যু বিষয়ক লেখালেখি নিয়ে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক, অনলাইন, সোশ্যাল মিডিয়ার সাংবাদিকদের মধ্যে মিডিয়া ফেলোশিপ (৩ মাসের) প্রাপ্তদের নাম প্রকাশ করেন যুগ্ম সচিব ও পরিচালক (আইইএম) ড. আশরাফুন্নেছা। নির্বাচিত প্রত্যেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা করে পাবেন। অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ পরিবার পরিকল্পনা কর্মী ও শ্রেষ্ঠ সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেয়া হয়। একই সঙ্গে ৬ জন গণমাধ্যমকর্মীকে মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ও ৪০ জন মিডিয়া কর্মীকে মিডিয়া ফেলোশিপ ২০২০ প্রদান করা হয়।

মাহমুদুল হাসান ঢাকা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থী। ২০১৬ সালে সাংবাদিক পীর হাবিব সম্পাদিত তারুণ্যনির্ভর অনলাইন পোর্টাল পূর্বপশ্চিমবিডিতে ক্যাম্পাস প্রতিনিধি হিসেবে যাত্রা শুরু। এরপর দৈনিক সংবাদ, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকমে কাজ করেন।  গত বছরের শুরু থেকে তিনি জাতীয় দৈনিক আমার সংবাদের স্বাস্থ্য বিটে একজন প্রতিবেদক হিসেবে কাজ শুরু করেন।

মিডিয়া ফেলোশিপ ছাড়াও তিনি ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে জাতীয় পর্যায়ের একটি বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সেরা বিতার্কিক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৭ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রকল্পের আওতায় রাজধানীর ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে পণ্যের প্রচারণায় গণমাধ্যমের ভূমিকা বিষয়ে সেরা প্রশিক্ষক নির্বাচিত হয়েছিলেন। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্যও তিনি।

ফেলোশিপ প্রাপ্তির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ফেলোশিপ প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে আমার দায়িত্ব বেড়ে গেল। প্রান্তিক ও পিছিয়ে পড়া মানুষের স্বাস্থ্য সুবিধা নিশ্চিতকরণে আমার এই লেখনি অব্যাহত থাকবে। গণমাধ্যমে কর্মরত সবার তরে অ্যাওয়ার্ডটি আমি উৎসর্গ করলাম। আজকের এই অনুপ্রেরণা থেকে আগামীতে আরও কর্মচঞ্চল হয়ে কাজ করতে চাই।’

Spread the love
%d bloggers like this: