যেভাবে পড়াশোনা করালে শিশুরা অনেক বেশি শিখতে পারবে

ফারজানা রিংকী
স্বাভাবিক একটি বিষয়। তাদের পড়াশোনাতে মনোযোগ আনতে প্রতিটি বাবা মায়ের অবস্থা বেশ শোচনীয় হয়ে পড়ে। আবার দেখা যায় খুব সহজ একটি পড়াও বাচ্চারা খুব সহজে মনে রাখতে পারছে না, একটু পরেই তারা ভুলে যাচ্ছে। বিষয়গুলোকে তারা বেশ কঠিন ভাবছে তাই পরবর্তীতে আর পড়তে বসতে চাইছে না। ভেবে দেখুন আপনার সন্তানটি পড়াশোনার সাথে আত্মিক বন্ধনটি তৈরি করতে ব্যর্থ হচ্ছে যার ফলে তারা এই বিষয়টিতে মজা পাচ্ছে না। জেনে নিন, যে পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে বাচ্চাকে পড়ালে তারা পড়াটিকে মনে রাখতে পারবে পাশাপাশি পড়াশোনায় অধিক মনোযোগও আনতে পারবে।
১. খেলতে খেলতে পড়ান :
বাচ্চারা খেলতে অনেক বেশি পছন্দ করেন। তাই তাদের উপরে এমন চাপ কখনই তৈরি করবেন না যে তারা খেলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেবে। তাহলে বাচ্চারা অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়বে। তাকে খেলারছলে কৌশলে পড়াতে হবে। কোনো বিষয় বাস্তবিক জ্ঞান দিয়ে বুঝিয়ে দিতে হবে। তাকে খেলার ফাঁকে ফাঁকে পড়তে বলুন।
২. অঙ্ক এবং টেকনিক্যাল বিষয়গুলো উদাহরণ দিয়ে শেখান :
বাচ্চারা অঙ্ক কষতে ভয় পেয়ে থাকে। এই ভয় নিমেষেই দূর করতে পারেন একমাত্র আপনিই। অর্থাৎ আপনি তাকে আশেপাশের বিভন্ন উদাহরণ দিয়ে তাকে অঙ্ক শিখিয়ে দিন। যেমন ধরুন তার খেলনার সংখ্যা কত, তার থেকে কিছু সংখ্যক বাদ দিলে বাকি কতটুকু থাকে এভাবে অঙ্ক শিখিয়ে দিন। এছাড়া বড় ক্লাসের অঙ্কগুলোও বাস্তবিক উদাহরণ দিয়ে শিখিয়ে দিন। এছাড়া বাচ্চাদের কিছু খেলনা রয়েছে যেগুলো বিল্ডিং মেকিংয়ের কাজ করে যেমন লেগো সিট। এগুলো দিয়ে আপনি প্রকৌশলের কিছু বিষয় শিখিয়ে দিতে পারেন। এতে করে তাদের মনে থাকবে বেশি।
৩. পুরস্কার দেয়ার প্রলোভনে না মজার মাঝে পড়া শিখান :
এটা অনেক বাবা মাই করে থাকেন যে পুরস্কার দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে পড়া মুখস্ত করে নেন। কিন্তু এটা একদিক দিয়ে যেমন ভালো অপর দিক থেকে অনেক ক্ষতিকর একটি বিষয়। এতে করে বাচ্চারা অনেক বেশি লোভী হয়ে গড়ে ওঠে। এতে করে তারা এই বিষয়ের উপরেই নির্ভর হয়ে পড়ে পাশাপাশি কোনো কিছুই মজা নিয়ে শিখতে পারে না। তাই আপনার সন্তানদের কোনো প্রলোভন দেখিয়ে নয় বরং বাস্তবসম্মতভাবে মজার মধ্যে পড়া শিখিয়ে দিন।
৪. বাড়িতেই কিছু বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা শিখিয়ে দিন :
বাচ্চারা বিজ্ঞান বিষয়টিকেও বেশ ভয় পেয়ে থাকে। এর জন্য এই বিষয়ের পড়াও তাদের খুব একটা মনে থাকে না। এর জন্য আপনি চাইলে বাড়িতে বিজ্ঞানের কিছু পরীক্ষা করে দেখাতে পারেন। এতে করে বাচ্চারা বিষয়টিতে মজা পাবে এবং অনেকটা মজা নিয়েই পড়বে। এর ফলে তাদের মনেও থাকবে অনেক বেশি।
৫. গল্পের মত করে ইতিহাস ব্যাখ্যা :
ইতিহাস মনে রাখা অনেক কষ্টকর। বাচ্চারা এটা আরও অনেক বেশি ভুলে যায়। এ কারণে আপনি একটু বুদ্ধি করে তাদেরকে গল্পের মত করে ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো বুঝিয়ে দিন। এতে করে তারা গল্পের মধ্য দিয়েই তা মনে রাখবে এবং কখনও ভুলবে না।

Spread the love
%d bloggers like this: