শিশুর আচরণগত সমস্যা ও তার সম্ভাব্য প্রতিকার

 দুরন্ত ডেস্ক: সময়ের সাথে সাথে শিশু বড় হয়, শারীরিক মানসিক পরিবর্তনটাও তাই একেবারেই স্বাভাবিক। বড় হবার এই সময়টাতে বিভিন্ন ধাপে শিশুর ব্যবহার, কাজকর্ম সবকিছুই দেখা যায় যা ভবিষ্যত জীবণেও সমানভাবেই প্রতিফলিত হয়। এই সময়ে শিশুর কাজকর্ম, আচার ব্যবহার বিষয়ক কোন সমস্যা থাকলে অবশ্যই তা সমাধানে বাবা-মায়ের মনোযোগী হওয়া উচিৎ যাতে করে সে বড় হবার সাথে সাথে এই সমস্যাগুলো শুধরে নিতে পারে। এমন সাধারণ দু’টি সমস্যা নিয়েই আজকের আলোকপাতঃ
১। শিশু তার বড় ভাই বা বোনকে ক্রমাগত বিরক্ত করছে, কোন কাজ করতে দিচ্ছে নাঃ
দ্বিতীয় সন্তানদের বেলায় বড় সন্তান কি shisur acharongoto somossaধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে তা সম্পর্কে আপনাদের আগেই অনেক কিছু জানানো হয়েছে, চিন্তা করুন তো এর উল্টোটা হলে কি হয়? আপনার সন্তান হয়তো কোন কাজ করছে কিংবা পড়ছে আর ছোট্ট সন্তানটি তাকে জ্বালাতন করছে। এক্ষেত্রে আপনার ভূমিকা যা হতে পারে তা হলোঃ
* ছোট শিশুটির উপর রাগ না দেখিয়ে সবকিছু ইতিবাচক ভঙ্গিতে দেখার অভ্যাস করুন। শিশুকে বোঝান যে তার কাজটি হয়তো অন্য কোন সময়ের জন্য মজার কিন্তু এখন তার ভাই বা বোন পড়ছে কিংবা কোন কাজ করছে। পরবর্তীতে এটা নিয়ে সবাই একসাথে মজা করবেন বলে তাকে আশ্বস্ত করুন। এক্ষেত্রে আপনার বড় সন্তানের সহযোগীতাও অনেক বেশি দরকার।
* শিশুকে কোন কাজে ব্যস্ত রাখতে চেষ্টা করুন, অযথা সময় ক্ষেপন কিংবা নিজেকে একা মনে হয়ে শিশুরা এসব আরো বেশি করে করার জেদ চাপতে পারে। তাই আপনার ছোট সন্তানটিকেও নিজের সাথে বা তার বড় ভাই বা বোন এর সাথে হালকা কোন কাজ ড্রইং করা, নিজের কাপড় গুছিয়ে রাখা এমন সব কাজে লাগিয়ে দিন এবং এতে উৎসাহ দিন।
২। শিশু মা-বাবার কাজে ক্রমাগত বিরক্ত করছেঃ
একমাত্র সন্তানের বেলায় অনেক বাবা-মা-ই সমস্যায় পড়ে থাকেন। শিশু কোনভাবেই ভালোভাবে কোন কাজ করতে দেয় না এবং মা- বাবাকে কাজের বেলায় প্রচন্ড রকমের বিরক্ত করে। কর্মজীবি বাবা-মা হলে তো এই ব্যাপারে সমস্যা আরো বেশি বেড়ে যায়। কি করতে পারেন এই সমস্যায়? কিছু পরামর্শ দেখে নিনঃ
* সব ব্যস্ততার মাঝেও শিশুকে যথেষ্ঠ সময় দিতে চেষ্টা করুন। কোনভাবেই শিশু যাতে একা অনুভব না করে। সাধারণত একা থাকার ফলশ্রুতিতেই এইসব সমস্যার আগমন ঘটে। তাই শিশুকে যতটা পারুন সুন্দর একটি সময় ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উপহার দিন। এটিই হতে পারে শিশুকে সামলানোর সবচেয়ে বড় উপায়।
* দুই থেকে আড়াই বছর বয়স থেকেই শিশুর সাথে সবকিছু শেয়ার করা শুরু করুন। কি করে খেতে হয়, কি করে সবার সামনে কথা বলতে হয় এসব ব্যাপারগুলো শিশুর জন্য খুব বেশি গুরুত্বপুর্ণ হয়ে দাঁড়ায় জীবনের একটি পর্যায়ে। তাই শিশুকে এই সময় থেকেই শেখাতে শুরু করুন তার কি করা উচিৎ, কি করা উচিৎ নয়।

Spread the love
%d bloggers like this: