শেখ হাসিনা যেখানে হাত দিয়েছেন সেটি স্বর্ণ হয়েছে: নৌ প্রতিমন্ত্রী

প্রতিনিধি, কক্সবাজার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেখানে হাত দিয়েছেন সেটি স্বর্ণে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেখানে হাত দিয়েছেন সেটিই স্বর্ণ হয়েছে।মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ তেমনি একটি প্রকল্প। একনেক সভায় পাস হলেই কাজটি দ্রুত শুরু হবে। এটি আমাদের বিশাল অর্জন, আমরা গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের যুগে প্রবেশ করেছি।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর এলাকা পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মহেশখালীর মাতারবাড়ি এলাকাকে বাস্তব সিঙ্গাপুর হিসেবে দেখতে চাওয়ার আশা ব্যক্ত করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে যারা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ও অবজ্ঞা করেছে তারাই এখন এর সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলছে। মাতারবাড়ি বন্দর নির্মাণের প্রতিবন্ধকতাকে চ্যালঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। বাংলাদেশে বিনিয়োগে এখন কোন সমস্যা নেই। মাতারবাড়িতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও অর্থনৈতিক জোন গড়ে উঠবে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বায়নের সাথে সংযুক্ত, একে আমরা উন্মুক্ত করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, মাতারবাড়ি পোর্ট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ এর বাস্তবায়নে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এর অর্থায়নে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ মাতারবাড়ি পোর্ট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টটি বাস্তবায়ন করবে। এতে জাইকার ঋণ ১২,৮৯২.৭৬ কোটি টাকা, বাংলাদেশ সরকার এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থ ২,২১৩.৯৪ কোটি টাকা।

নৌ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রকল্পের মধ্যে অন্যান্য কাজের সাথে প্রায় ২৮ কিলোমিটার চারলেন বিশিষ্ট সড়ক নির্মিত হবে। এ সড়কে ১৭টি সেতু থাকবে। ১৭টি সেতুর দৈর্ঘ্য প্রায় সাত কিলোমিটার। এটি বাস্তবায়িত হলে ১৯ মিটার ড্রাফটের বড় জাহাজ (মাদার ভেসেল) বন্দরে ভিরতে পারবে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বন্দরটি বিশাল ভূমিকা রাখবে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজ, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য প্রকৌশল কমডোর শফিউল বারী উপস্থিত ছিলেন।

Spread the love
%d bloggers like this: