রোহিঙ্গাবোঝাই নৌকাডুবি, ১২ লাশ উদ্ধার নিখোঁজ অনেক
প্রতিনিধি: মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ঢোকার সময় বঙ্গোপসাগর ও নাফ নদীর মোহনায় রোহিঙ্গাবোঝাই আরও একটি নৌকাডুবির ঘটনায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাত নয়টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ ঘোলারচর এলাকায় নৌকাডুবি হয়।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন পুরুষ, একজন নারী ও ১০ জন শিশু রয়েছে। এর আগে গতকাল রাতে ১৫ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা।
নৌকাডুবির পর সাঁতরে তীরে উঠে আসেন মোহাম্মদ জাফর। তিনি জানান, সেনাবাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে তাঁর পরিবারের সাত সদস্যসহ অর্ধশতাধিক রোহিঙ্গা বুচিদংয়ের মাইদং পাহাড় পেড়িয়ে নাইক্ষ্যংদিয়া আসেন। সেখান থেকে নৌকায় করে শাহপরীর দ্বীপ যাচ্ছিলেন তাঁরা। পথে নৌকা ডুবে যায়। তিনি, তাঁর মা ও স্ত্রী তীরে উঠতে পারলেও দুই বোন ও দুই শিশু নিখোঁজ রয়েছে। আজ সোমবার সকালে শিশু দুটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তীরে উঠে আসা আরেক রোহিঙ্গা মো. জোবাইর বলেন, নৌকাডুবিতে তাঁর মা, বাবা, ভাই, বোনসহ সাতজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁর বাড়ি বুচিদং কুবাইং গ্রামে।
সাবরাংয়ের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফজলুল হক বলেন, গতকাল রাত ১১টা থেকে তাঁরা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। আজ সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত ১২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকাজ এখনো চলছে।
টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে কর্নেল এস এম আরিফুল ইসলাম ও টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইন উদ্দিন খান বলেন, উদ্ধার লাশগুলোর দাফনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।