“শিশু কিশোররা কি এভাবে হত্যা বা গুমের শিকার হতে থাকবে???”

আরিফ জাওয়াদ:
মা-বাবার অত্যন্ত প্রিয় ও আপনজন হলো তার সন্তান। মাথার ঘাম পেয়ে ফেলে সন্তানের দুঃখ ঘোচানোর জন্য কঠিন পরিশ্রম করেন। আশেপাশে তাকালেই দেখা যায় সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার ভালবাসার গভীরত্ব।

যখন এ পিতা-মাতার সন্তান অন্যের হাতে খুন বা গুম হয়ে যায়,তখন এ অসহায় পিতা-মাতার জীবনের গল্প নাটক সিনেমাকেও হার মানিয়ে দেয়।আমাদের এ স্বাধীন বাংলাদেশে চলছে শিশু কিশোর হত্যা ও গুমের ঘটনা।আজকালের সংবাদপত্র বা সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক দেখলেই ঠিক তেমনটা বোঝা যায়।শিশু কিশোরের উপর হায়েনার হামলার ঘটনা।

সম্প্রতিক প্রকাশিত শিশু অধিকার তথ্য অনুযায়ী সাড়ে তিন বছরে ৯৬৮ জন শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। বিভিন্ন দৈনিক এ প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে ২৬৭টি সংগঠনের মোর্চা অধিকার ফোরামের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে,২০১২ সালে ২০৯,২০১৩ সালে ২১৮,২০১৪ সালে ৩৫০ জন শিশুকে হত্যা করা হয়েছে।চলতি বছরে সাত মাসেই সংখ্যাটি দাঁড়িয়েছে ১৯১ জনে।

এক শ্রেণীর নিষ্ঠুর মানুষেরা দ্বারা এসব সংঘঠিত হচ্ছে।গত জুলাই মাসে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে দেড় বছরের এক শিশুকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।কেমন নিষ্ঠুর মানুষ চিন্তা করা যায়?শুধু কি এই মৃত্যু?সাভারে ২৫ দিন আগে পৃথিবীতে আসা আবদুল্লা নামে এক শিশুকে সাত তালা থেকে ছুড়ে ফেলে হত্যা।কেমন দেশে রয়েছি আমরা?দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করলেও এই নিষ্পাপ
কোমলমতি শিশু-কিশোরদের হত্যা করা হচ্ছে।কিন্তু কেন?এ হত্যাকান্ড।এই নিষ্পাপ শিশুরা কি এভাবেই মারা যাবে?

সবচাইতে আলোচিত ঘটনা সিলেটের কিশোর রাজন হত্যাকান্ড।মিথ্যা অপবাদে প্রকাশ্যে এক প্রকারের নরপশুর হাতে প্রাণ নাশ।কিন্তু কেন?শিশু-কিশোরদের উপর এত নির্মম অত্যাচার।এভাবে একের পর কত রবিউল,রাকাবের মত নাম না জানা শিশু কিশোরেরা মরবে???

মিথ্যা অপবাদে কখন যেন আমি ও আমার সাংবাদিক বন্ধুরাও যে,এর শিকার হবে না। এর কোন নিশ্চয়তা নেই।

উপরোক্ত ঘটনা কয়েকটা মাত্র হাতেগোনা।কিন্তু এর মত আরো অসংখ্য ঘটনা রয়েছে।কিন্তু আর কত এ নিষ্পাপ কোমলমতি শিশু-কিশোরদের প্রাণ নাস হবে।কত পিতা-মাতার বুক খালি হবে?মুক্তি চাই এ অন্ধকার জগত থেকে।

দিনাজপুর
বযস:-১৪

Spread the love