“আল্লাহর কাছে হাজির হওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম”
এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, ২০১৯ সালে আদালত যখন ফাঁসির হুকুম দিলো, একবারে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে নিই, আল্লাহর কাছে হাজির হবো। কিন্তু ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে করোনা হলে, আল্লাহর দরবার থেকে আমার জন্য করুণা হলো। ৫ আগস্ট সকাল পর্যন্ত ধারণা ছিল না যে আপনাদের সাথে দেখা হবে।
আজ বুধবার সকালে ৯টা ৫ মিনিটে বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুক্তি পাওয়ার পর এক প্রেস কনফারেন্সে তিনি এ কথা বলেন।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, ৫ আগস্ট সকাল পর্যন্ত ধারণা ছিল, আওয়ামী লীগের আগের যারা আছেন, তারা ১০/২০ হাজার লোক মেরে ফেলেও ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করবেন। আর তারা মনে করেন তাদের তো, সে সুযোগ আছে। তো যাই হোক আমার কাছে রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ৫ আগস্ট সকাল ৯টা থেকে ১০টার সময় টিএসসিতে অনেক লোক, তখন জেলখানাতেও ভয়ে অনেক ঢিলা হয়ে গেছিল। অনেক কিছু প্রবেশ করতো, মেমোরি কার্ড নিতে আটকায়তো না, তখন ওই মাধ্যমে ফলো করতাম, অনেক খবর পেতাম। তো দেখলাম যে একটা ছোট্ট বাচ্চা পাঁচ ছয় বছরের, ওর পাশেই একটা পুলিশ দাঁড়ায় আছে, ঘুষি মারতেছে। তো আমি তখন বললাম যে এই সরকার থাকতে পারবে না। বলে কেন? এই বাচ্চা কিভাবে জানে এই পুলিশটা খারাপ, মারতে গেছে। তাহলে অবস্থা এমন সৃষ্টি হয়েছে যে এই সরকার জনমানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এরপরের ঘটনা আপনারা জানেনই। আলহামদুলিল্লাহ, মুক্তি পেয়ে গেলাম আজ সকালেই।
এটিএম আজহার বলেন, ইসলামী আন্দোলন করা অপরাধ। এটা যখন প্রথম ছাত্র জীবনে আন্দোলন করি, তখন থেকেই মনে বদ্ধমূল ধারণা, ইসলামী আন্দোলন করলে ফাঁসি হবেই। এটা নিয়ে চিন্তা হতো না। কোনো সময়, কোনো সময় চিন্তা হতো না।