কাজ নেই তবু আছে যে ৫ অঙ্গ

দুরন্তবিডি ডেস্ক:
পূর্বপুরুষের থেকে বিবর্তিত হতে হতে আজকের মানবজাতিতে পৌঁছতে সময় লেগেছে দীর্ঘ ৬০ লাখ বছর। অভিযোজনের স্বাভাবিক নিয়মে বিবর্তিত হয়েছে মানুষের শারীরিক গঠনও। বর্তমান মানবপ্রজন্মের শরীরে এমন অনেক অংশ রয়েছে, যা আদিম মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় হলেও আজকের দিনে তার দরকার ফুরিয়েছে। নজর রাখব শরীরের এমনই ৫ অংশের দিকে, যার থাকা না থাকায় মানুষের কিছু যায় আসে না।

টেলবোন : মানুষের এখন লেজ নেই। তাই দরকার নেই টেলবোনেরও। মানুষ যখন ভ্রুণ আকারে মায়ের গর্ভে থাকে, তখনও তাদের একটি লেজের অংশ থাকে অন্য স্তন্যপায়ীদের মতো। তবে ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় সেই লেজ ক্রমশ ছোট হয়ে মিশে যায় মেরুদন্ড হাড়ের সঙ্গে।

 নিপলস : মাতৃগর্ভে প্রথম ৬০ দিনে নির্ধারিত হয় ভ্রুণের লিঙ্গ। যেগুলোর থেকে ওয়াই ক্রোমোজোম টেস্টোস্টেরন হরমোন ক্ষরণ হয়, তা তৈরি করে পুরুষ যৌনাঙ্গ। যেহেতু শুরুতেই এটা নির্ধারণ করা যায় না, সেজন্য প্রত্যেকটি ভ্রুণের মধ্যেই নিপলসের গঠন থাকে। তবে সেই ভ্রুণ থেকে মেয়ে না হয়ে ছেলের জন্ম হলে নিপলসটি অকেজো হয়ে পড়ে।

আক্কেল দাঁত : মানুষের চোয়াল দীর্ঘসময় ছোট আকারে থাকায় আমাদের আক্কেল দাঁতটি জায়গামতো নিজেকে ফিট করতে পারে না। বিজ্ঞানীদের মতে, কাঁচা সব্জি ও মাংস চিবিয়ে খেলে দাঁত ও চোয়ালের গঠন ঠিক থাকে। যেটা প্রতি ৫ জনের মধ্যে একজন মানুষ করেন না। তবে বর্তমানে মানুষ দাঁতের যত্ন নিয়ে সচেতন হওয়ায় আক্কেল দাঁতটি অনেকক্ষেত্রেই নিজেদের জায়গা করে নিতে পারে বলে মত কয়েকজন বিশেষজ্ঞের।

চোখের তৃতীয় পাতা : আমাদের চোখের একেবারে কোণে ঠিক নাকের কাছে একটি ত্বকের একটি পরত থাকে, যেটা ওখানে থাকার কোন প্রয়োজনীয়তা নেই। একে বলে নিকটিটেটিং মেমব্রেন। পাখিদের চোখে এই তৃতীয় অক্ষিপল্লব কার্যকর। চোখটিকে সুরক্ষিত রাখতে তারা সেটি দিয়ে চোখ ঢেকে রাখলেও সবকিছু দেখতে পারে। কিন্তু মানুষ সেসব কিছু করতে পারে না।

কান (কিছু অংশ) : আমাদের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হলেও এর কয়েকটি অংশ আমাদের কোনো কাজে আসে না। কানে এমন কিছু পেশি থাকে, যা কানের পাতাটি নাড়াতে সাহায্য করে। কিন্তু যার আদপে কোনো দরকার নেই আমাদের। বাঁদর, বিড়ালের মতো প্রাণীদের কান ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বিভিন্ন দিকের শব্দ শুনতে হয়। কিন্তু আমাদের সেসব করতে হয় না। অনেকে কান নাড়াতে সক্ষম হলেও তাতে শোনার ক্ষেত্রে তাঁদের বাড়তি কোনো সুবিধে হয়নি।

Spread the love