শীতের পিঠা…
হোসাইন মোহাম্মদ সাগর
জাতি হিসেবে আমরা কিন্তু বাঙালী। আর জানোই তো, বাঙালি জাতির বার মাসে তের পার্বণ। অর্থ্যাৎ সবসময়ই আমাদের দেশে কোন না কোন উৎসব লেগেই থাকে। আর এসব উৎসবের অন্যতম একটা হচ্ছে নবান্ন উৎসব। এ উৎসব নতুন ধানের উৎসব। মানে গ্রামের সবাই নতুন ধান গোলায় তোলার আনন্দে এ উৎসব করে থাকে। এ উৎসবকে ঘিরে তারা তৈরী করে পিঠাসহ বিভিন্ন ধরণের নতুন চালের তৈরী খাবার।
এদিকে আবার শীতও কিন্তু এসে পড়েছে। তাই শীত আর নবান্ন এবার একসাথে হওয়ায় এবার কিন্তু শীতের পিঠার মজাটাও বাড়বে অনেক বেশি। আর কে না জানে, শীতের সকালে গ্রামের বাড়ি চুলার পাশে বসে দাদির হাতের পিঠা খাওয়ার কত্ত মজা! সে কি কখনো ভোলা যায়! আর তাইতো শীতের ছুটিতে পিঠা খাবার জন্য হলেও গ্রামের বাড়িতে যাওয়া চাই ই চাই।
আমাদের দেশে কিন্তু অনেক রকমের পিঠা আছে। বলা যেতে পারে, পিঠার জন্য কিন্তু পৃথিবীতে বাংলাদেশই সেরা। আর এসব পিঠার কত সুন্দর সুন্দর সব নাম। ঝিনুক পিঠা, নকশি পিঠা, খেজুর পিঠা, চুষি পিঠা, বিবিখানা পিঠা, ছিট পিঠা, পোয়া পিঠা, চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা, সেমাই পিঠা, দুধ পিঠা, পাটিসাপটা, পুলি পিঠা, নারিকেল পিঠা, গোলাপ পিঠাসহ আরো কত…। শীতকালে গরম গরম এসব পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। আর পিঠা ছাড়া শীত যেন জমেই না।
মাছ, কুলা, পানপাতা সহ বিভিন্ন নকশা করে যে পিঠা তৈরী করা হয়, তাকে বলে নকশি পিঠা। আর একদম গোলাপ ফুলের মতো পিঠাটার নামই হচ্ছে গোলাপ পিঠা। এসব পিঠা দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও কিন্তু তেমনি মজাদার। একদম জিভে জল আনার মতো।
এছাড়া ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরের রাস্তার ধারে যেসব সাদা সাদা পিঠা বিক্রি হয়, ওগুলো ভাপা পিঠা। নারিকেল, গুড় আর পোলাও চালের গুড়া দিয়ে তৈরী এই পিঠার মজাও কিন্তু চমৎকার। আর সত্যি বলতে আমাদের দেশের সব পিঠার রয়েছে নিজস্ব আলাদা আলাদা স্বাদ। যা না খেলে ঠিক বোঝা যাবে না।