শিশু পরিবারের ছাত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

image_124877_0লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: নোয়াখালী শিশু পরিবারের চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রী আসমা আক্তারকে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের মা সেলিনা বেগম।

নিহত আসমা আক্তার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাহাপুর গ্রামের মৃত বাহার উদ্দিনের মেয়ে। বৃহস্পতিবার সকালে লক্ষ্মীপুর শহরের বাগবাড়ি এলাকার একটি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে তার মা হত্যার অভিযোগ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

সেলিনা বেগম বলেন, “চার বছর আগে আসমা বেগমকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত নোয়াখালী শিশু পরিবারে পড়ালেখার জন্য ভর্তি করা হয়। সে চতুর্থ শ্রেনীতে পড়ত। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার রাতে শিশু পরিবারের সুপার শিল্পী ভৌমিক ও নৈশপ্রহরীসহ অন্যরা আসমা বেগমকে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে।”

তিনি বলেন, “ঘটনার পরদিন শুক্রবার সকালে সুপার শিল্পী ভৌমিক মোবাইল ফোনে জানায় আসমা বেগম অসুস্থ্ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে আমরা নোয়াখালী শিশু পরিবারে গিয়ে যোগাযোগ করলে তারা জানায়, সে গলায় ওড়ন পেছিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ধামাচাপা দেয়ার জন্য নোয়াখালী শিশু পরিবার তাড়াহুড়া করে আসমার বেগমের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়।”

সেলিনা বেগমের অভিযোগ, “আসমা বেগমকে দেখতে হাসপাতালে যাওয়ার পর আমাকে আটকিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে ও মারধর করে জোর করে আসমার লাশ বুঝিয়ে দেয়া হয়। পরে আসমার লাশ গ্রামের বাড়িতে আনার পর গায়ে বিভিন্ন ধরনের আঘাতের চিহৃ পাওয়া যায়। আসমা বেগমকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।”

এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার দাবী করেন তিনি। নিহত স্কুল ছাত্রীর আত্মীয়-স্বজনরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

নোয়াখালী শিশু পরিবারের সুপার শিল্পী ভৌমিক  বলেন, “আসমা বেগম গলায় ওড়না পেছিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তাকে কোনো নির্যাতন করা হয়নি। পরে ময়নাতদন্ত শেষ করে আসমার লাশ তার মা সেলিনা বেগমের কাছে হস্তান্তর করা হয়।”

Spread the love