কক্সবাজার জেলায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

দেশের ২০টি জেলার সুবিধাবঞ্চিত এবং এতিম শিশুদের প্রতি মাসে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সমাজসেবা অধিদপ্তর। ইতিমধ্যে ৪ জেলার ৪ হাজার ৪০০ শিশুকে এ সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

প্রকল্পসূত্রে জানা যায়, ইউনিসেফের আর্থিক ও কারিগরী সহায়তায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় সমাজসেবা অধিদপ্তর ‘চাইল্ড সেনসিটিভ সোস্যাল প্রটেকশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ইউনাইটেড নেশন্স ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসট্যান্স ফ্রেমওয়ার্ক (ইউএনডিএএফ) চিহ্নিত নিলফামারী, কুড়িগ্রাম, রংপুর, গাইবান্ধা, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জ, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবন এবং কক্সবাজার জেলায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
এ প্রকল্প পরিচালক ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব ওমর ফারুক রাইজিংবিডিকে বলেন, শারীরিক, মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের মাধ্যমে মাতৃ-পিতৃহীন ও সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনাই এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।

সুবিধাভোগী শিশুদের বয়স ৬ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে হতে হবে। ছেলেদের ক্ষেত্রে অনূর্ধ্ব ১৪ বছর ও মেয়েদের বয়স হবে ১৬ বছর। সুবিধা বঞ্চিতদের মধ্যে পরিত্যক্ত, নাম পরিচয়হীন বা দাবিদারহীন, পথশিশু, শিশুশ্রম, ভিক্ষাবৃত্তি, চা শ্রমিক, প্রতিবন্ধী, বস্তিবাসী শিশু, কারাভোগরত পিতামাতার শিশু সন্তান, এইচআইভি আক্রান্ত শিশু, হিজড়া শিশু, বেদে ও হরিজন শিশুরাই এই প্রকল্পের আওতায় আসবে। অবশ্য এসব পরিবারের বার্ষিক আয় ৩৬ হাজার টাকার কম হতে হবে।
ওমর ফারুক বলেন, ২০ জেলার ১১ হাজার শিশুকে প্রতিমাসে ২ হাজার টাকা করে আর্থিক ভাতা দেওয়া হবে। ১৮ মাস পর্যন্ত এ ভাতা পাবে শিশুরা। সমান তিনটি কিস্তিতে এ টাকা দেওয়া হবে তাদের।

তিনি আরো বলেন, ৬ থেকে ১৩ বছর বয়সি শিশুকে অবশ্যই বিদ্যালয়ে পাঠাতে হবে ও শিশুকে শ্রমে নিয়োজিত করা যাবেনা। তবে বিয়ে হলে এ সুবিধা পাবে না শিশুরা। এ তিন শর্তের মধ্যে একটিও ভঙ্গ করলে আর্থিক সুবিধা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।

Spread the love