ডেঙ্গু হলে কী করবেন, কী করবেন না, কী খাবেন কী খাবেন না
ডেঙ্গু রোগ হলে বাসায় থাকলেও প্রতিদিন অন্তত একবার কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট করা উচিত বলে মনে করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের সহকারী
ডা. মিজানুর রহমান খান বলেন, ‘ডেঙ্গু হলে সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে শরীর ব্যথা। বিভিন্ন সময় দেখা যায় যে, একেক জনের ক্ষেত্রে একেক রকম ভাবে প্রকাশ পায়। কারও সারা শরীরে ব্যথা থাকে, কারো জয়েন্টে ব্যথা থাকে। মূলত শরীর ব্যথা বেশি হয়ে থাকে। এরপর যেটা দেখা যায় সেটা বমি। ডেঙ্গু হওয়ার এক দুইদিন পর বমি শুরু হয় অনেকের। সাথে খাবার রুচি কমে যায়। অনেকেই খেতে পারেন না, খাবার দেখলেই বমি আসে। কারও ক্ষেত্রে জ্বর ১০২-১০৫ ডিগ্রি হয়ে যায়।
পরবর্তীতে আরও যেসব লক্ষণ দেখা যায়: পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া, দুর্বলতা দেখা যায়। রোগীরা হাঁটাচলা করতে দুর্বলবোধ করেন, পারিবারিক কাজকর্ম করতে পারে না।
‘আক্রান্ত হলেই হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে এটা নয়। ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে আমাদের পেশেন্ট ভর্তির কিছু ক্রাইটেরিয়া আছে— যেগুলো দেখা দিলে আমরা হাসপাতালে ভর্তি হতে বলি। যেমন অতিরিক্ত বমি, পাতলা পায়খানা, পেটে ব্যথা, প্রেসার কমে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট এবং প্লাটিলেট কমে যাওয়া।’— যোগ করেন ডা. মিজানুর রহমান খান।
ডেঙ্গু হলে যা যা খেতে হবে: ওরস্যালাইন, খাবার স্যালাইন, কমলা, লেবু, লেবুর শরবত, ডাবের পানি, কমলার জুস। টকজাতীয় খাবার যেমন আমড়া, আমলকি, পেয়ারা ইত্যাদি দেশীয় ফল।
ডেঙ্গু রোগ থেকে সুস্থ হওয়ার পরে করণীয় সম্পর্কে ‘ডা. মিজানুর রহমান খান বলেন, ‘ডেঙ্গুতে উইকনেস বেশি হয়ে থাকে। এই উইকনেস কাটানোর জন্য সুষম খাবার খেতে হবে। ভাত, মাছ, মাংস যতদিন ঠিকঠাক ভাবে খাওয়া না যাবে ততদিন শরীর ঠিক হবে না। রোগীকে অবশ্যই পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে।’
ডেঙ্গু রোগের জন্য মূল দায়ী ডেঙ্গুবাহী এডিস মশা। এই রোগ মোকাবিলায় সবাইকে মশারি টাঙিয়ে ঘুমাতে হবে।