জামায়াতের আমিরের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক ও ডেপুটি চিফ অব মিশন ঝিনহি ব্যাক রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শন করেছেন। এ সময় রাষ্ট্রদূত দলের আমিরসহ দলটির নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে এক সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান ও কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক বক্তব্য দেন।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও কীভাবে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সে ব্যাপারেও আমরা উভয়েই আমাদের অভিমত ব্যক্ত করেছি।’
এ সময় ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের উল্লেখ করে জামায়াতের আমির বলেন, একটি কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে এ দেশের গণমানুষের যে লড়াই সাড়ে ১৫ বছর ধরে চলে আসছিল, সেই লড়াইয়ের পরিসমাপ্তি লগ্নে আন্দোলনকে দমানোর জন্য সরকার এক কুৎসিত পথ অনুসরণ করেছিল। অসংখ্য মানুষের জীবনের বিনিময়ে, হাজারো মানুষের ত্যাগের বিনিময়ে এবং দেশে-প্রবাসে একসঙ্গে লড়াইয়ের বিনিময়ে জাতি সাময়িকভাবে মুক্তি পেয়েছে। এ বাংলাদেশকে কীভাবে সামনে এগিয়ে নেওয়া যায়, জনগণের উন্নতি, নিরাপত্তা ও অগ্রগতি নিয়ে বিশেষভাবে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া অংশীদারত্ব উন্নত করতে পারে, এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
জামায়াত জানিয়েছে, সাম্প্রতিক আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে দক্ষিণ কোরিয়া কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে, সে বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন দলের আমির। এ ছাড়া কোরিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা আরও কীভাবে অবদান রাখতে পারেন, সে বিষয়েও তাঁরা আলোচনা করেন। কোরিয়ায় বাংলাদেশিরা যেন আরও বেশি সংখ্যায় যেতে পারেন, সে ব্যাপারেও জামায়াতের আমির সহযোগিতা চেয়েছেন।
শফিকুর রহমান বলেন, সৌজন্য সাক্ষাতে তাঁদেরও কিছু কথা ছিল, সেগুলো তাঁরা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন এবং সে জায়গাগুলো তাঁরা পরিষ্কার করার চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের মনে হয়েছে যে আমাদের কথায় তাঁরা পুরোপুরি আশ্বস্ত হয়েছেন। এই সাক্ষাতে তাঁরা বাংলাদেশের সমাজ ও সামাজিক প্রেক্ষাপট সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা পেয়েছেন।’
পরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক বলেন, এই পরিদর্শনে তাঁরা উৎসাহিত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে ভালো আলোচনা হয়েছে।
সাক্ষাতে জামায়াতের আমিরের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান, সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের ও আ ন ম শামসুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ, আবদুল হালিম, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান, মতিউর রহমান আকন্দ, নূরুল ইসলাম বুলবুল, মো. সেলিম উদ্দিন ও মোবারক হোসাইন।