শিশুদের জন্য ব্যায়াম

সময়ের সঙ্গে পাল্টে যাচ্ছে অনেক কিছুই। খেলাধুলার জন্য প্রয়োজনীয় যে মাঠ তা তো দিন দিন কমেই যাচ্ছে। বিশেষ করে ছোটদের দৌড়াদৌড়ির জায়গা নেই বললেই চলে। এরপর আছে সময়ের অভাব। পড়াশোনার চাপ তো আছেই। যতটুকু সময় পাওয়া তা তো চলে যায় কম্পিউটার আর টেলিভিশনের সামনে। কিন্তু শরীর তো শোধ নিতে ছাড়ে না। একটা সময়ে শুরু হয়ে যায় শরীরে ব্যথা, বিশেষ করে ঘাড় ও কোমরে। স্থূলতা সমস্যাও দেখা দিতে পারে। হতে পারে হজমের সমস্যা আর মানসিকও। এসব সমস্যা যাতে ধারেকাছে না আসতে পারে সে জন্য ছোটদেরও ব্যায়াম করা দরকার। কমবেশি সব বাচ্চারই শরীরচর্চার ইচ্ছা থাকে। মা-বাবার উচিত সেই ইচ্ছাটা আরো বাড়িয়ে দেওয়া। এ জন্য অবশ্য জিমে যাওয়ার দরকার নেই। বাড়িতে বসেই করা যায়। আর তাই যত কম বয়সে শুরু করা যায় ততই ভালো।

শিশুদের ব্যায়ামের বিষয়টি পুরোপুরি তাদের ওপর ছেড়ে দিলে চলবে না। বাবা-মাকে শিক্ষকের ভূমিকায় থাকতে হবে। প্রয়োজনে তাদের সঙ্গী হতে হবে। ওয়ার্ক আউটের সময় বাচ্চাদের ভঙ্গি ঠিক থাকছে কি না, সেদিকে নজর রাখতে হবে। অন্যথায় হিতে বিপরীত হতে পারে। তাদের অনুশীলনে তাড়াহুড়া করা যাবে না। এতে ইনজুরির আশঙ্কা থাকে। এ কারণে ছোটদের ব্যায়ামে সাবধান হওয়াটা জরুরি। আবার এমন কোনো ব্যায়াম করানো যাবে না, যাতে তাদের মধ্যে শরীরচর্চার প্রতি অনীহা বা ভীতি চলে আসে।

বার্ড ডগ হোল্ড : দুই হাত ও দুই হাঁটু মাটিতে রেখে হামাগুড়ি দেওয়ার অবস্থায় থাকতে হবে। এবার ডান হাত সামনে তুলে বাঁ পা পেছনের দিকে শূন্যে টানটান করাতে হবে। লক্ষ রাখতে হবে, এ সময় পিঠ যেন সোজা থাকে। শরীরটা যেন এদিক-ওদিক বেশি না দোলে। ১০ থেকে ২০ সেকেন্ড করার পর হাত ও পা বদল করতে হবে। অর্থাৎ এবার বাঁ হাত সামনে তুলে ডান পা পেছনের দিকে টানটান করতে হবে। এভাবে কয়েকবার করাতে হবে। এ ব্যায়ামে পিঠের, কোমরের পেশি সুদৃঢ় হবে। এছাড়া ভারী ব্যাগ বহন, ঝুঁকে পড়াশোনা করার ফলে কোমরে ব্যথা হওয়ার শঙ্কা থেকে তাদের দূরে রাখবে। (চলবে)

Spread the love