আগুনে শেষ পুরো পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর দিলু রোডের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শিশু রুশদী ও তার মা জান্নাতুল ফেরদৌসীর পর মারা গেলেন রুশদীর বাবা শহিদুল কিরমানীও।

সোমবার (২ মার্চ) সকালে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে মারা যান তিনি। ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচ। আগুন লাগার ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এর আগে রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসের মৃত্যু হয়। তার শরীরে ৯৫ শতাংশ পোড়া ছিল।

গত বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে রাজধানীর ইস্কাটনের দিলু রোডের ভবনের গ্যারেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। আগুন লেগে এক শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়, দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল শিশু রুশদির বাবা-মা। নিহতদের মধ্যে দুজন হলেন- আব্দুল কাদের (৪০) ও ভবনের বাসিন্দা শহিদুল কিরমানি রনির ছেলে রুশদী (৪)। নিহত রুশদী এ. জি. চার্চ স্কুলের ছাত্র।

ভবনে আগুন লাগার বিষয়টি টের পেয়ে শিশু সন্তান এ কে এম রুশদিকে নিয়ে সিঁড়ি বেয়ে নিচের দিকে নামছিলেন বাবা-মা। এসময় বাবার হাত ফসকে বেরিয়ে যায় রুশদী। বৃহস্পতিবার ভোরে ইস্কাটনের দিলু রোডের পাঁচতলা ভবনের তৃতীয় তলার সিঁড়িতে শিশুটির পোড়া দেহ পড়েছিল। তার বাবা শহীদুল কিরমানি রনি (৩৯) ও মা জান্নাতুল ফেরদৌসও (৩৪) মৃত্যুর সঙ্গে লড়তে থাকেন বার্ন ইউনিটে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক (ময়মনসিংহ বিভাগ) আবুল হোসেনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের ওই তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকারি সংস্থাটি।

Spread the love
%d bloggers like this: