কিশোর সায়েমের মুঠোফোন ও হাতে ‘নীল তিমি’

দুরন্ত প্রতিবেদক: কিশোর সায়েম দেওয়ান আত্মহত্যার আগে জ্যামিতি বক্সের কাঁটা-কম্পাস দিয়ে ফুঁড়ে ফুঁড়ে সে হাতে নীল তিমি এঁকেছিল। শুধু তাই নয় মুঠোফোনের মেমোরি কার্ডে ব্লু হোয়েল গেমসের তথ্য পাওয়া গেছে। তাই তার মৃত্যুর পেছনে এই গেমসের প্রভাব থাকতে পারে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।

ঘটনা তদন্তকারী পুলিশের মিরপুর অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সায়েমের ফোনের মেমোরি কার্ড থেকে ব্লু হোয়েল (নীল তিমি) গেমসের তথ্য পাওয়া গেছে। এ থেকে মনে হচ্ছে সে ব্লু হোয়েল খেলত। তার মুঠোফোনের মেমোরি কার্ডে ২৫টির মতো অন্ধকারের ছবি পাওয়া গেছে। আত্মহত্যার আগে জ্যামিতি বক্সের কাঁটা-কম্পাস দিয়ে ফুঁড়ে ফুঁড়ে সে হাতে নীল তিমি এঁকেছিল। তিনি জানান, আদালতের অনুমতি নিয়ে মুঠোফোনটির ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) পাঠানো হবে। সেখান থেকে প্রতিবেদন পাওয়া গেলে বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

গত সোমবার রাতে মিরপুরের পশ্চিম কাজীপাড়ার একটি বাসা থেকে পুলিশ সায়েম দেওয়ানের (১৫) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। সে মনিপুর স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছে। এরপর বাবার চায়ের দোকানের পাশে গ্যাস লাইটার বিক্রি করত।

আলোচিত এই গেমসের নাম ব্লু হোয়েল বা নীল তিমি। বলা হয়, এই গেমসে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিকে ধাপে ধাপে আত্মহত্যা পর্যন্ত নিয়ে ঠেকায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ধাপ হলো অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিরা সুচালো বা ধারালো কিছু দিয়ে তাদের শরীরে তিমির ছবি আঁকে। সায়েমের বাঁ হাতে তিমির ছবি আঁকা ছিল বলে সুরতহাল প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

Spread the love
%d bloggers like this: