বাল্যবিবাহ ঠেকালেন ইউএনও

গাইবান্ধায় বাল্যবিবাহের হাত থেকে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে রক্ষা করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের পাড় বাগুড়িয়া গ্রামে।

ওই গ্রামের শফিকুল ইসলাম সাজুর অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে সুমাইয়া আক্তার শিমুর সঙ্গে একই ইউনিয়নের আনালের ছড়া গ্রামের মোন্তাজ মিয়ার অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে এরশাদ মিয়ার বিয়ের আয়োজন চলছিল। সব কিছুই ঠিকঠাক। বর আসলেই বিয়ে। কিন্তু না! হঠাৎ ঘটল বিপত্তি। খবর পেয়ে পুলিশ আর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে নিয়ে হাজির হলেন ইউএনও। বন্ধ করে দিলেন বাল্যবিবাহ। তবে নিলেন না আইনি কোনো ব্যবস্থা। ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে দেবেন না বলে মুচলেকা আদায় করে নিলেন পরিবারের কাছ থেকে।

গিদারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সাদেক লেবু বলেন, `সময় মতো এসে আমরা এটা প্রতিরোধ করতে পেরেছি।`

গাইবান্ধা সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল মমিন খান বলেন, `তারা ভুল স্বীকার করার তাদেরকে আমরা সাবধান করে দিয়েছি। তাদের কাছ থেকে অঙ্গীকার নামা নেওয়া হয়েছে। মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে দেবেন না তারা।

Spread the love
%d bloggers like this: