বিমান ভূপাতিতের জন্য ট্রাম্পকেও পরোক্ষভাবে দুষলেন ট্রুডো

দুরন্ত ডেস্ক
মার্কিন-ইরান যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি না হলে ইউক্রেনের বিমানটির যাত্রীরা প্রাণ হারাতো না, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এমনটাই বলেছেন।

গত সপ্তাহে ইরানের ভুলবশত ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র বিমানটিতে আঘাতে হানে। এতে নিহত ১৭৬ যাত্রীর মধ্যে ছিল ৫৭ জন কানাডীয় নাগরিকও।

তেহরানের বিমানবন্দর ছেড়ে যাওয়ার ঠিক কয়েক মিনিটের মধ্যে বিধ্বস্ত হয় ইউক্রেনীয় বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ফ্লাইটটি।

ট্রুডো বলেন, ‘ওই অঞ্চলে উত্তেজনা সৃষ্টি না হলে বিমানটির নিহত ১৭৬ জন যাত্রীরা সবাই এখনো বেঁচে থাকতেন। এই মুহূর্তে তারা নিজেদের নিজেদের ঘরে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।’

আলজাজিরা জানায়, গ্লোবাল নিউজ টিভি চ্যানেলকে সোমবার ট্রুডো এক সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, ‘সংঘাত এবং যুদ্ধের কারণে এমন কিছু ঘটে যায়। নির্দোষ মানুষকেই তার ফল বহন করতে হয়।’

এই ঘটনার জন্য পরোক্ষভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও দোষারোপ করেন ট্রুডো। ট্রাম্পের নির্দেশেই ইরানি জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার পর এই উত্তেজনা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। যার বদলা নিতে গিয়ে মার্কিন যুদ্ধবিমান মনে করে ইউক্রেনীয় যাত্রীবাহী বিমানটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। তবে ট্রুডো সরাসরি ট্রাম্পকে দায় দেয়ার ব্যাপারে সতর্ক ছিলেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের স্পষ্ট উত্তর জানা দরকার এই ঘটনা কীভাবে ঘটল। আর কীভাবে নিশ্চিত হব যে, এ রকম ঘটনা আর কখনোই ঘটবে না।’

ট্রুডো আরও জানান, ট্রাম্পের নির্দেশে সোলেইমানিকে হত্যার আগে অবশ্যই একটি ‘সতর্কতা’ আশা করেছিলেন। যেহেতু ইরাকে নিয়োজিত ন্যাটো বাহিনীতে কানাডার সৈন্যও আছে।

তিনি বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার জন্য বিচার দাবি করেন। সেই সঙ্গে পুরো বিষয়টি সতর্কতার সঙ্গে তদন্তের জন্য ইরান সরকারের প্রতি দাবি জানান।

Spread the love
%d bloggers like this: