মারা গেছেন বগুড়ায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার স্কুলশিক্ষক

প্রতিনিধি, বগুড়া
বগুড়ায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হওয়া সেই স্কুলশিক্ষক মারা গেছেন।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।

নিহত সাইফুল ইসলাম (৫০) নন্দীগ্রাম উপজেলার পেং হাজারকি গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে এবং পার্শ্ববর্তী দোলছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

নন্দীগ্রাম থানার ওসি শওকত কবীর বলেন, “সাইফুল ইসলাম হাসপাতালে মারা গেছেন বলে শুনেছি। তবে কীভাবে মারা গেছেন তা জানা যায়নি। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।”

নন্দীগ্রামের বুড়ইল ইউপি চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ বলেন, সাইফুল গত সোমবার সন্ধ্যায় দোলগাছি বাজারে যান। সেখান থেকে কে বা কারা তাকে ধরে নিয়ে হাত-পা বেঁধে মারপিট করে ফেলে রেখে যায়।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার সন্ধ্যার পর সাইফুল বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন তার খোঁজ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তার কর্মস্থল দোলগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে তিনি মারা যান।

নিহতের পারিবারের সদস্যরা জানান, সাইফুল ইসলামের ছেলে শুভ গ্রামের একাধিক দাদন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১৫-১৬ লাখ টাকা দাদনে নিয়ে পরিশোধ করতে পারছেন না। সাইফুল ইসলামের বেতনের চেক বইও দাদন ব্যবসায়ীদের কাছে রয়েছে। টাকা আদায়ের জন্য দাদন ব্যবসায়ীরা সাইফুলকে চাপ দিয়ে আসছিল।

দাদন ব্যবসায়ীরা সাইফুলকে মারপিট করে হাত-পা বেঁধে স্কুলের বারান্দায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

Spread the love
%d bloggers like this: