মিরপুরের পাবলিক লাইব্রেরী তালাবদ্ধ, নষ্ট হচ্ছে বিপুল সংখ্যক বই

মেজবা উদ্দিন পলাশ ,(কুষ্টিয়া):
কুষ্টিয়ার মিরপুরের পাবলিক লাইব্রেরী এখন জরাজীর্ন অবস্থায় পড়ে আছে ৭ বছর ধরে,
বই জ্ঞানের ভান্ডার। একাকীত্বের অনুপম সঙ্গী। অবসর আড্ডার অন্যতম পাঠাগার। সেই জ্ঞান সমৃদ্ধ মিরপুরের পাবলিক লাইব্রেরীটি বন্ধ রয়েছে প্রায় ৭ বছর ধরে।

অর্থনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি-ক্রীড়া এবং সংসদীয় আসনেও উচ্চ
মর্যাদাপূর্ণ সুনাম রয়েছে এ উপজেলার। তবে পাবলিক লাইব্রেরী থাকলেও জানেনা
অনেকেই, মিরপুরে পাবলিক লাইব্রেরী আছে কি না এই সম্পর্কে কথা বলি
মিরপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার
নজরুল করিমের সাথে তিনি বলেন মিরপুরে পাবলিক লাইব্রেরী আছে কি না
আমি নিজেই জানি না। জানতে পারতাম যদি পাবলিক লাইব্রেরীর কার্যক্রম থাকতো। তাহলে এ বিষয়ে
কি কথা বলবো ।
জ্ঞান আহরণ করে সাফল্যের সিড়িতে একদিন উঠে আসবে এই উপজেলা, তবে সরকারি অর্থায়নে একটি গণ পাঠাগার বা পাবলিক লাইব্রেরী থাকা স্বত্তে¡ও সেটি বন্ধ রয়েছে দীর্ঘ ৭ বছর ধরে।
প্রায় ৩ হাজার বইয়ে সমৃদ্ধ এ লাইব্রেরীর প্রায় সব বই-ই নষ্ট হতে চলেছে। লাইব্রেরীটি বন্ধ থাকার কারণে
ঘুণ,মাকোশা, ভোমোরের বাসা, এবং উইপোকার আক্রমনে মূল্যবান বই গুলো বিনষ্ট হচ্ছে।
মিরপুর পাবলিক লাইব্রেরী সাবেক সাধারন সম্পাদক
হাফিজুর রহমান বাবু বলেন, ২০০৪ সালে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয় সম্পকির্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন,
কুষ্টিয়ার মিরপুর ও ভেড়ামারা-(২) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম এমপি, তার সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন আমার নিজ উদ্যেগে পাবলিক লাইব্রেরীটি মিরপুর উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়াম
হলের পাশে এক কক্ষ নিয়ে স্থাপিত হয় ।
২০০৪ সালে ২৭ চৈত্র-১৪১০ বাং তারিখে পাবলিক লাইব্রেরী
উদ্বোধন হয় কিছু দিন ভালই চলছিলো এ পাবলিক লাইব্রেরীটি ।
আবার নতুন ভবন নির্মিত হলেও তার কোনো কার্যকম নেই ভবনের চিত্র দেখলেই মনে
হয় এই ভবনটি এখন নতুন করে তৈরী হচ্ছে কিন্তু না অনেক দিন আগে থেকে এই ভবন
তৈরী হয়ে আছে। আবার ভবন আছেকিন্তু জানালা দরজা কিছুই নেই। এলাকাবাসীর দাবি পাবলিক লাইব্রেরী আবার আগের মতো খোলা রাখা হোক। এবং লাইব্রেরী কার্যকম আরো ভালো ভাবে চলুক।

মিরপুরের পাবলিক লাইব্রেরী বন্ধ থাকায় হাজার হাজার টাকার মূল্যে আসবাব পত্র ও বই পত্র নষ্ট হতে চলেছে।
আর কেনো খোলা হচ্ছে না এমন প্রশ্ন করলে
মিরপুর পাবলিক লাইব্রেরীর সভাপতি ও মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজাদ জাহান বলেন, মিরপুরের মতো জায়গায় চাকরি করে পাবলিক লাইব্রেরী আছে কি না আমি জানি না,
এখন কিছু বলবো না ৭ দিন পর আসো, তার
পর বলবো আর লাইব্রেরীতে কি আছে আমি নিজেই জানি না লাইব্রেরীতে ঢুকলে সবাইকে
নিয়ে ঢুকবো এমনটাই বলেন তিনি। সুধী সমাজের অভিযোগ কর্তৃপক্ষের অবহেলায় একদিকে বিশাল জ্ঞানের ভান্ডার সমৃদ্ধ পবিত্র বিদ্যাপ্রতিষ্ঠানটি বন্ধ থাকায় এখানকার সুশীল পাঠক সমাজ সাহিত্য
পাঠ ও সুস্থসংস্কৃতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অপর দিকে এখানকার শিশু কিশোরা সুস্থ পরিবেশ থেকে সরে এসে দৈন্যন্দিন নষ্ট পথে পা বাড়িয়ে জুয়া, চুরি, ছিনতাই অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে ।

Spread the love
%d bloggers like this: