শিশুপার্কে উপচে পড়া ভিড়, আনন্দে মেতেছে বড়রাও

 হোসাইন মোহাম্মদ সাগর: আম্মুকে পাশে নিয়ে ঘোড়ায় সাওয়ার হয়েছে সাড়ে তিন বছরের আদিবা। বাবার সাথে নৌকায় উঠেছে রায়হান। মামার হাতটা ছেড়ে বেলুন কিনতে খুব লম্বা একটা দৌড় দিয়েছে ছোট্ট বাবু জুবাইদা। মামাও মোবাইলের ক্যামেরাটা চালু করে ছুটছে তার পিছু পিছু। কাছে গিয়ে মামা তাকে জড়িয়ে ধরতেই হাসতে হাসতে আহ্লাদে যেন ঢলে পড়ে সে। মামার গালে আদুরে একটা চুমো দিয়ে আদায় করে নেয় তিনখানা বড় বেলুন।

মিষ্টি চেহারায় খোলা চুলে আব্বু-আম্মুর সাথে ট্রেনে ওঠার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছে রিয়ানা। বয়স মাত্র দেড় বছর। তার থেকে বয়সে একটু বড় রিংকিও আছে তারই সাথে। ওরা দু’বোন এসেছে শিশুপার্কে। ট্রেনে ওঠা, ঘোড়ার পিঠে সাওয়ার হওয়া আর নৌকায় চড়া সহ বাবার কাছে হাজারটা বায়না তাদের। শুধু কি রিয়ানা আর রিংকি, শুক্রবার বিকেলে শাহবাগের কেন্দ্রীয় শিশুপার্কে এসেছে ওদের মতো আরো অসংখ্য শিশু।

কথা হয় রিয়ানার বাবা কামাল খন্দকারের সাথে। তিনি  বলেন, সপ্তাহে এই একটি দিনই ছুটি মেলে। তাই বাচ্চাদের নিয়ে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ি ঘোরার পাশাপাশি একটু বিনোদনের খোঁজে এখানে আসা। কেননা ওদের আনন্দেই নিজের আনন্দটা খুঁজে পাই।

ছুটির দিন মানেই আনন্দ। আর এই আনন্দ কয়েক গুণ বেড়ে যায় বন্ধু বা পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে গেলে। আর তাইতো শুক্রবারের বিকেলটা আরো সুন্দর করতে রাজধানীবাসী ভিড় জমিয়েছেন নগরীর বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। পরিবার আর বন্ধুদের সঙ্গে মেতে উঠেছেন আনন্দে। যার ফলস্বরূপ শিশু কিশোর সহ বড়দের পদচারণাতে মুখরিত হয়ে উঠেছে রাজধানীর শহীদ জিয়া শিশুপার্কটি। দুপুরের পর থেকেই ভিড় জমতে শুরু করে এখানে।

কথা হয় মেয়েকে নিয়ে পার্কে ঘুরতে আসা কাসাবা হাউজিং লিমিটেডের লজিস্টিক এক্সিকিউটিভ মো. রাসেল এর সঙ্গে। তিনি বলেন, মেয়ে এবং পরিবারকে নিয়ে প্রায় সবসময়ই ছুটিগুলো উপভোগ করার চেষ্টা করি। সেই সুবাদেই এখানে আসা। আর সবাই মিলে আমরা ভীষণ মজাও করছি।

এদিকে শিশুপার্কটিকে গত ঈদ এবং আগামী ঈদ উপলক্ষে সাজানো হয়েছে ভিন্ন আঙ্গিকে। রঙ নষ্ট হয়ে যাওয়া রাইডগুলোতে লাগানো হয়েছে নতুন রঙ। রাইডগুলোর ছোটখাটো যান্ত্রিক ত্রুটিগুলো মেরামত করা হয়েছে। রয়েছে আলোকসজ্জার ব্যবস্থাও।

Spread the love
%d bloggers like this: