২০ জেলায় বন্যা, শিশুসহ ২৬ জনের মৃত্যু

দুরন্ত ডেস্ক: দেশের ২০ জেলায় কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। গত দুই দিনে বন্যায় শিশুসহ ২৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। পাঁচ জেলায় সড়ক যোগাযোগ বন্ধ। রেলপথ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উত্তরের পাঁচ জায়গায় ট্রেন চলছে না। নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে পানি ঢুকে পড়েছে। উত্তরাঞ্চলের ২৩টি স্থানে বাঁধ ভেঙে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ১৮টি জায়গায় নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে।

আগামী তিন দিন দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর পাঁচ থেকে সাত দিনের মাথায় বন্যার পানিতে ডুবতে পারে রাজধানীর নিম্নাঞ্চল। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল সোমবার এই পূর্বাভাস দিয়েছে। তারা বলছে, সাধারণত ব্রহ্মপুত্র-গঙ্গা ও যমুনা অববাহিকার পানি একযোগে বাড়লে বড় বন্যা হয়। এ বছর ওই তিন অববাহিকা ছাড়াও তিস্তা নদীর পানিও বাড়ছে।

সরকারি হিসাবেও গতকাল পর্যন্ত বন্যায় ২০ জন মারা গেছে বলে উল্লেখ করেছেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী। রাজধানীর মহাখালীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, চলমান বন্যা পরিস্থিতি ’৮৮-এর চেয়ে মারাত্মক হলেও তা মোকাবিলা করার সামর্থ্য সরকারের আছে।

এদিকে ভারতের আবহাওয়াবিষয়ক রাষ্ট্রীয় সংস্থা আইএমডির চলতি সপ্তাহের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশটির পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, অরুণাচল, সিকিম রাজ্যে টানা ভারী বৃষ্টি হবে। ইতিমধ্যে ওই রাজ্যগুলোর বিস্তৃত এলাকা তলিয়ে গেছে। রাজ্যগুলো দিয়ে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও গঙ্গা নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ভারতের ওই সব রাজ্যে ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে তা বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে বলে বাংলাদেশের বন্যা ও নদী বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

Spread the love
%d bloggers like this: