প্রথম ইনিংসে ধরাশয়ী বাংলাদেশ

ভারতের সাথে টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে ইন্দোরের হোলকার মাঠে বাংলাদেশের অধিনায়ক মুমিনুল হক টস জিতে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।কিন্তু প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা কোনভাবেই সুবিধা করতে পারেননি ।ওপেনিং করতে নামা সাদমান এবং ইমরুল কায়েসের ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছে ব্যাটসম্যানরা স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাট করতে পারছেন না।যার ফলে ১৫০ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।

ভারতের বোলিং তোপে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা দাঁড়াতে পারেনি।ছবি-সংগৃহীত।

কোনো ব্যাটসম্যানই ফিফটির দেখা পর্যন্ত পাননি। সর্বোচ্চ ৪৩ রান এসেছে মুশফিকের ব্যাট থেকে।১০৫ বল খেলে উইকেটে সেট হওয়া মুশফিক শামির সুইংয়ের ফাঁকিটা কীভাবে বুঝতে পারলেন না সেটি বড় একটি প্রশ্ন। এর আগে দুটি ‘জীবন’ও পেয়েছেন তিনি। মাহমুদউল্লাহ–মুমিনুলদের কেউ–ই ইনিংস বড় করতে পারেননি।‘জীবন’ পাওয়ার পরও স্টাম্প ফাঁকা করে অশ্বিনকে ওভাবে সুইপ করতে যাওয়ায় যে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেন মাহমুদউল্লাহর মনোসংযোগ নিয়ে।

মুমিনুল হক ফেরার পর উইকেটে এসেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। এসেছেন—বলতে হচ্ছে কারণ বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি অভিজ্ঞ এ ব্যাটসম্যান। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে আউট হয়েছেন বাজে শট খেলে। ১০০ রান তোলার আগেই ৪ উইকেট পড়ায় মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে বড় জুটি গড়ে দলকে বিপদ থেকে রক্ষার দায়িত্ব ছিল মাহমুদউল্লাহর কাঁধে। কিন্তু অযথাই সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন তিনি। এরপর দ্রুতই মুশফিককে তুলে নেন ভারতের পেসার মোহাম্মদ শামি। তাঁর দুর্দান্ত সুইংয়ের জবাব ছিল না মুশফিকের (১০৫ বলে ৪৩) কাছে।

বাংলাদেশের বিপদ আরও ঘনীভূত হয়েছে শামির পরের বলেই। মেহেদী হাসানকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন শামি। ওভারের শেষ বল হওয়ায় হ্যাটট্রিকের সুযোগ সৃষ্টি করেও অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে শামিকে। চা–বিরতির পর অবশ্য হ্যাটট্রিকের দেখা পাননি শামি। ৩ উইকেট পেয়েছেন এ পেসার।

এর আগে মোটামুটি ভালোই খেলছিলেন মুমিনুল হক। শেষ অবধি তিনিও ফিরে যান। স্কোরবোর্ডে ১০০ জমা হওয়ার আগেই তিনি রবিচন্দ্রন অশ্বিনের অফ স্টাম্পের ওপরের বলটি পড়তে ভুল করে বসলেন। ৮০ বলে ৩৭ করে বোল্ড তিনি। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৬৮ রানের জুটি গড়ে দারুণ প্রতিরোধ গড়েছিলেন। কিন্তু বড় অসময়ের প্যাভিলিয়নের দিকে হাঁটলেন তিনি। 

এ উইকেট ফাস্ট বোলারদের দিকে শুরুর দিনেই সহায়তার হাত বাড়ায়—বাংলাদেশ অধিনায়ক যখন টস জিতে ব্যাটিং নিলেন তখন মনে মনে খুশিই হয়েছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। খুশির ব্যাপারটা গোপনও করেননি। টসের সময়ই বলে দিয়েছিলেন, তাঁরা টস জিতলে বোলিংই নিতেন। তিন পেসার নিয়ে যে খেলছে ভারত। গতি বোলারদের ওপর কোহলির আস্থা অনেক। টেস্ট শুরুর প্রথম আধ ঘণ্টার মধ্যেই ইশান্ত শর্মা, উমেশ যাদবরা সেটির প্রতিদান দিয়েছেন। সুইংয়ে সুইংয়ে ব্যতিব্যস্ত রেখেছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। 

Spread the love
%d bloggers like this: