ভ্রূণবিদ্যার গবেষণায় নতুন সাফল্য

অন্তঃপ্রজননঘটেনি এমন পুরুষের স্পার্মের তুলনায় অন্তঃপ্রজনন স্পার্ম কম পরিমাণ ডিমনিষিক্ত করে। সমপ্রতি এঙ্গোলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা থেকে এ কথা জানাযায়। সংবাদমাধ্যমটির বরাতে আরো জানা যায়, লাল আটার বিটলের সন্তানজন্মদানের ওপর এক প্রতিবেদন সম্প্রতি প্রসিডিং অফ রয়েল সোসাইটি বুলেটিনেপ্রকাশ হয়। এ প্রতিবেদনে বলা হয়, কাছের আত্মীয়ের মাধ্যমে জন্ম নেয়া বিটলেরশারীরিক ক্ষমতা কম হয়। এটি ইনব্রিডিং ডিপরেশন নামে পরিচিত।
বিশ্বজুড়ে প্রজাতির সংখ্যা কমে আসায় অন্তঃপ্রজনন একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাহিসেবে দেখা দিয়েছে। বর্তমানে পরিবেশ রক্ষায় জিনগত বৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিশেষগুরুত্ব পাচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, নতুন এ গবেষণা অন্তঃপ্রজননে অভ্যস্তপ্রজাতিগুলো ধরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
বিভিন্ন প্রজাতির সদস্য সংখ্যা কমে এলে বা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে, নিকটআত্মীয়রা বংশ রক্ষার দায়িত্ব পালন করে এ ইনব্রিড ডিপরেশন বা অন্তঃপ্রজননঅবসাদের জন্ম দেয়। ড. মেট গেগের নেতৃত্বে গবেষণায় লাল আটার বিটলট্রাইবোলিয়াম কেসটানিয়াম পুরুষের সন্তান জন্মদানের আচরণ পরীক্ষা করে দেখাহয়। এ সময় অন্তঃপ্রজননে বাধ্য হওয়ার পর বিটলের আচরণ পর্যবেক্ষণ করা হয়।
গবেষণায় পরপর আট প্রজন্ম পর্যন্ত ভাইবোনের মাধ্যমে সন্তান উৎপাদনের পরও লালআটার বিটল পরিবারের পুরুষের মধ্যে কোনোরকম জোড় বাঁধার বা সন্তান জন্মদানেরআচরণে পরিবর্তন দেখা যায়নি।
তবে দেখো গেছে, এদের অন্তঃপ্রজননে জন্ম নেয়া পুরুষেরা কম সংখ্যায় ডিমনিষিক্ত করতে পারে। এর পরিমাণ প্রায় পনের ভাগ। আর এদের শুক্রাণুর আকারওবিভিন্ন ধরনের হতে দেখা গেছে।

Spread the love
%d bloggers like this: