মেয়ে শিশুকে শিক্ষিত ও দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে: স্পিকার

প্রতিনিধি:
“আর বাল্যবিয়ে নয়-বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ ও মাতৃমৃত্যু হ্রাসে মেয়ে শিশুকে শিক্ষিত ও দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। নারীদের এগিয়ে নিতে সরকার যুগোপযোগী পরিকল্পনা ও নীতিমালা গ্রহণ করে ধাপে ধাপে তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ফলে এ দেশের নারীরা এখন আর পিছিয়ে নেই। ”

আজ সোমবার রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ও ইউএনএফপি’র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘স্ট্রেনথেনিং পার্লামেন্ট’স ক্যাপাসিটি ইন পলিউশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইস্যুস (এসপিসিপিডি) প্রকল্পের আওতায় ‘বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের মাধ্যমে মাতৃমৃত্যু হ্রাসকরণ’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

স্পিকার বলেন, “বাল্যবিয়ের কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা এবং পারিবারিক নির্যাতন বেড়ে যায়। উপযুক্ত হওয়ার আগেই সংসারের দায়িত্ব নেওয়ার কারণে অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হতে পারে না নারীরা। ফলে পর্যায়ক্রমে তারা পারিবারিক ও সামাজিক বৈষম্যের শিকার হন। ” এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের অগ্রণী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি প্রফেসর ডা. আ হ ম রুহুল হক এমপি, বিএপিপিডি’র যুব উন্নয়ন সম্পর্কিত সাব কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম এমপি এবং সদস্য সেলিনা বেগম এমপি।

সংসদ সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. আব্দুর রব হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ইউএনএফপি’র আবাসিক প্রতিনিধি আই ওরিকাটো, অতিরিক্ত সচিব এ ওয়াই এম গোলাম কিবরিয়া এবং প্রকল্প পরিচালক এম এ কামাল বিল্লাহ ও পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আজিজুর রহমান রাঙ্গা, সহসভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোনায়েম সরকার মানু, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র আবু ছালেহ মো. তাজিমুল ইসলাম শামীম প্রমুখ। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম।

কর্মশালায় স্থানীয় সাংবাদিক ছাড়াও জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক প্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দসহ ১৯০ জন চেঞ্জ এজেন্ট অংশগ্রহণ করেন। এর আগে স্পিকার নারীদের জন্য আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০টি সেলাই মেশিন হস্তান্তর ও প্রশিক্ষণ  উদ্বোধন করেন। পরে তিনি উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের লালদিঘী উচ্চ বিদ্যালয় ও চতরা ইউনিয়নের চতরা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পৃথক দুটি সভায়ও প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।

স্পিকার আরো বলেন, “দেশে একজন মানুষও অনাহারে কষ্ট পাবে না। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, কৃষি উপকরণ প্রদান ও আগামী ফসল না ওঠা পর্যন্ত সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্য সহায়তা প্রদান করবে। পরে তিনি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তার চাল ও আমন ধানের চারা বিতরণ করেন।

Spread the love
%d bloggers like this: