শিশুরা সাবধান! ফেইসবুক হতে পারে মানসিক অশান্তির কারণ

দুরন্ত ডেস্ক:
ফেইসবুক, নামটির সাথে কম বেশি সবাই পরিচিত। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় সাইট এখন ফেইসবুক। ছোটবড় প্রায় সবাই বর্তমানে যোগাযোগের জন্য এই সাইটটি ব্যবহার করছে।

ফেইসবুকের জন্ম ২০০৪ সালে। ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মার্ক জুকারবার্গ এ সাইটটি তৈরি করেন শুধুমাত্র সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের জন্য। কিন্তু ধীরে ধীরে এর পরিচিতি বিস্তৃত হতে থাকে। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ফেইসবুক ব্যবহৃত হচ্ছে।

বাংলাদেশেও ফেইসবুক কম জনপ্রিয় নয়। ২০০৭-২০০৮ সাল থেকেই এই সাইটটি ব্যবহার হচ্ছে আমাদের দেশে।

তবে বয়সের সীমাবদ্ধতার কারণে আগে হয়তো অনেকেই ফেইসবুক ব্যবহার করতে পারত না। তবে বর্তমানে আমাদের দেশের কিশোর-কিশোরীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ফেইসবুক।

দেশি-বিদেশি বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ, কথা বলা, ভিডিও কল ছাড়াও আরও নানা ব্যবস্থা থাকায় ফেইসবুকের জনপ্রিয়তা আগের চেয়ে বেড়েছে কয়েক গুণ।

এখন ফেইসবুকের কল্যাণে হারিয়ে যাওয়া বন্ধুদের খুঁজে পাওয়াও সম্ভব হয়।

শহরে বসবাসকারী যে কোনো শিশু-কিশোরের বিনোদনের প্রধান মাধ্যম এখন ফেইসবুক। নতুন নতুন বন্ধু বানানো, ছবি শেয়ার করা, নিজের ভাবনাগুলো স্ট্যাটাসের মাধ্যমে সবাইকে জানিয়ে নিজের একাকিত্ব দূর করে। মফস্বলের ছেলেমেয়েরাও মোবাইলে ফেইসবুক চালায়।

তবে ফেইসবুককে অনেকে কিশোর-কিশোরীদের জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করছেন। অনেক সময় ধরে ফেইসবুকিং করলে তা ব্রেইনকে অস্থির করে তোলে। বৈজ্ঞানিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে ব্যক্তিরা ফেইসবুকে বেশি সময় দেন ও নানারকম মন্তব্য করেন তাদের অধিকাংশই মানসিক অশান্তিতে ভোগেন।children-privacy-issue

Spread the love
%d bloggers like this: