করোনা মোকাবেলায় ৫ মন্ত্রী ও তিন মেয়রের বৈঠক

দুরন্ত ডেস্ক: করোনাভাইরাস সংক্রমণের ব্যাপকতা রোধে জোনভিত্তিক লকডাউন বাস্তবায়নে অনলাইন বৈঠক করেছেন সরকারের পাঁচজন মন্ত্রী এবং তিনজন মেয়র।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে কনফারেন্সে আরো অংশ নেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস সহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

বৈঠকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, দেশে করোনাভাইরাস মোকাবেলার জন্য জোনভিত্তিক লকডাউন ঘোষণা করা হলে তা বাস্তবায়নে রাজধানীসহ সারা দেশের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, সমাজসেবকসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের নিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি এবং উপ-কমিটিকে সক্রিয় করতে হবে।

শুক্রবার দেশের বর্তমান করোনা মহামারীর সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এলাকাভিত্তিক লকডাউন বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের এক অনলাইন ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়ে এই আহ্বান জানান।

সভায় ত্রাণবিতরণসহ বিভিন্ন সময়ে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের নিয়ে উপজেলা পর্যায়ে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে সেই কমিটিগুলোকে সক্রিয় করে লকডাউন এর বিধি-বিধান বাস্তবায়নের দায়িত্ব দিলে তা অধিক কার্যকরী হবে।

জোনভিত্তিক এলাকাগুলোতে অন্যান্য জরুরি সেবা প্রদানের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুবিধার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রীরা বলেন, এসব এলাকায় গুরুতর অসুস্থ রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স সেল করে তাৎক্ষণিক সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রাখতে হবে। কোনো ওয়ার্ডের যে অংশে কোভিড সংক্রামক রেডের মাত্রায় পৌঁছেছে, পুরো ওয়ার্ডের পরিবর্তে শুধু সেই এলাকায় লকডাউন করলে কাজের চাপ কম হবে।

সারা দেশে যখন এলাকা ভিত্তিক লকডাউন ঘোষণা করা হবে তখন সব স্থানে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ন্যস্ত করা কঠিন হয়ে পড়বে। কারণ করোনা ছাড়াও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা জনিত বিষয়ে সামলাতে গিয়ে শুধু করোনা প্রতিরোধে এত সংখ্যক জনবল পদায়ন করা কঠিন হবে।

Spread the love
%d bloggers like this: