ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ে হাইকোর্টের ক্ষোভ

অনলাইন ডেস্ক: ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। ঢাকার বায়ুদূষণের মাত্রা পরিমাপ এবং দূষণ রোধের বিষয়ে আদালত বলেছেন, ‘বায়ুদূষণ রোধে নেয়া পদক্ষেপ আমাদের হতাশ করেছে। আমরা ক্ষুব্ধ।’

ধুলোবালি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

বায়ুদূষণ নিয়ে দায়ের করা এক রিটের শুনানিতে বুধবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মন্তব্যসহ এ আদেশ দেন।

আদালত বলেন, পর্যাপ্ত বাজেট থাকার পরও সঠিকভাবে কাজ হচ্ছে না। সিটি কর্পোরেশনকে সহায়তা করার ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের আচরণ দুঃখজনক। একই সঙ্গে আগামী ২৯ মার্চের মধ্যে এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য বলা হয়েছে।

এসব বিষয় সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

রিটের শুনানিতে আদালত আরও বলেন, ‘মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ যেসব এলাকায় চলছে, সেসব এলাকায় প্রচুর ধুলোবালি পরিবেশ দূষিত করছে। আমাদের মেট্রোরেল প্রয়োজন। কিন্তু একই সঙ্গে বায়ুদূষণ রোধও জরুরি। আমাদের সন্তানদের রক্ষা করতে হলে এসব (বায়ুদূষণ) বন্ধ করতে হবে।’

ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় একটি রিট করা হয়।

বিশ্বে সবচেয়ে বায়ুদূষণের কবলে থাকা শহরগুলোর মধ্যে ঢাকা শহরের অবস্থান ১৭তম। আর রাজধানী শহরগুলোর তালিকায় ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়। এই শহরের বাতাসে ক্ষুদ্র বস্তু কণিকার (পার্টিকুলেট ম্যাটার বা পিএম ২.৫) পরিমাণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বেধে দেয়া মাত্রার চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি। সূএ:যুগান্তর

Spread the love
%d bloggers like this: