দ্বিতীয় শ্রেণির চার শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত: দু-একটা মারলে কী হয় শিক্ষিকা!

দুরন্ত বিডি: দু-একটা মারলে কী হয়?- এমনই দাম্ভিক প্রশ্ন করলেন ঈশ্বরদীর ফতেমোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক সহকারী শিক্ষিকা! আর যাদের তিনি স্কেল দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছেন- তারা চারজনই দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। বয়স ৭ এর ওপর নয়।

টিফিনের সময় দুষ্টুমি করার অভিযোগে ঈশ্বরদীতে দ্বিতীয় শ্রেণির চার শিক্ষার্থীকে স্কেল দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছেন রত্না রাণী সরকার নামের একজন শিক্ষিকা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঈশ্বরদীর ফতেমোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

অথচ জাতিসংঘের ৯ ও ১৮ অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে, কোনো কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীকে শারীরিক-মানসিক নির্যাতন করা যাবে না।

আহত শিক্ষার্থীরা হলো ফিরোজ হোসেন, পপি খাতুন, মনিকা খাতুন ও শীলা খাতুন। আহত ছাত্রী মনিকা, শিলা, ফিরোজ ও পপি জানায়, তারা ক্লাসে বসে টিফিন খাচ্ছিল, কোনোরকম দুষ্টুমি করেনি, কোনো কিছু জিজ্ঞেস না করেই ক্যাপ্টেনের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী ম্যাডাম তাদেরকে পিটিয়েছে।

আহত শিক্ষার্থীদের অভিভাবক মিরাজ হাসান, শাহ আলম, সুদ্দু খান ও ওয়াসিমসহ তাদের মা ও আত্মীয়-স্বজনরা তাদের শিশু সন্তানদের এভাবে কেন পিটিয়ে আহত করা হয়েছে প্রশ্ন করলে অভিযুক্ত শিক্ষিকা রত্না রাণী সরকার উল্টো তাদের প্রশ্ন করেন দু-একটা মারলে কী হয়?

স্কুলের প্রধান শিক্ষক রেজাউস সেলিম এ বিষয়ে বলেন, শিশুদের রাষ্ট্রীয়ভাবে স্কুলে মারা নিষেধ আছে তারপরও একজন সহকারী শিক্ষিকা এভাবে শিশুদের ওপর শারীরিক নির্যাতন করেছেন এটা অন্যায়, তিনি তার পক্ষ থেকে অভিভাবকদের নিকট ক্ষমা চান।

ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কানিজ ফাতেমা বলেন, স্কুলের কোনো শিশু শিক্ষার্থীকে মারা নিষেধ আছে, সেটা জেনেও যদি কোনো শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয় তবে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Spread the love
%d bloggers like this: